Cooch Behar: মোদীর সভায় আসার পথে বিজেপি কর্মীদের বাস ভাঙচুর!
Cooch Behar: বাসে চেপে মোদীর সভায় যোগ দিতে গেলে রাস্তায় অযথা পুলিশের হয়রানির শিকার হতে পারে। সমস্যা আগাম আঁচ করে ছক বদল। প্রচুর বিজেপি নেতা কর্মী ট্রেনে চেপে রওনা দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে।

কোচবিহার: কোচবিহার থেকে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। মোদীর সভায় আসার পথে বিজেপি কর্মীদের বাস ভাঙচুরের অভিযোগ। কোচবিহারের পানিশালা থেকে বিজেপি কর্মীরা বাসে সভায় আসার চেষ্টা করছিলেন। পথেই হঠাৎ করে হামলা হয়। বাসের সামনের কাচ ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এই বাস নিয়ে আর কর্মীরা সভাস্থলে আসেনি। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, আসলে প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে ভীত সন্ত্রস্ত তৃণমূল। তাতে বোঝা যাচ্ছে, আগামী দিনে এখানে তৃণমূলের অবস্থা কীরকম হবে। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “কোচবিহার থেকে যে ধরনের অভিযোগ আসছে, তৃণমূলের গুন্ডবাহিনী বাসে ভাঙচুর চালিয়েছে, হামলা করছে, এইভাবে মোদীর সভায় আসা আটকানো যাবে না। আমাদের কর্মীরা আসবেনই। আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ তদন্ত করছে।” যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাসে চেপে মোদীর সভায় যোগ দিতে গেলে রাস্তায় অযথা পুলিশের হয়রানির শিকার হতে পারে। সমস্যা আগাম আঁচ করে ছক বদল। প্রচুর বিজেপি নেতা কর্মী ট্রেনে চেপে রওনা দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে।
জলপাইগুড়ি থেকে কয়েক হাজার বিজেপি নেতা কর্মীরা আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। তাঁদের একটা বড় অংশ NJP, আমবাড়ি,জলপাইগুড়ি রোড-সহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে বিভিন্ন ট্রেনে চেপে আলিপুর দুয়ার রওনা হলেন। পাশাপাশি জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মন্ডল থেকে অজস্র বাস ও ছোট গাড়ি করে আলিপুরদুয়ারমুখী বিজেপি নেতা কর্মীরা।
বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, “আমরা জানি মোদীর সভায় যাঁরা যাচ্ছেন, দল দাস পুলিশ তাঁদের আটকাবে। কারণ রাস্তায় প্রচুর জায়গায় অজথা ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। আমাদের কাছে আগাম এই খবর ছিল। তাই আমরা প্রচুর পরিমান বিজেপি কর্মীরা ট্রেনে যাচ্ছি। কিন্তু এইকথাও জানিয়ে রাখি যাঁদের রাস্তায় আটকে দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা শত বাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাবেই।”

