Cooch Behar: পুলিশ সুপারের বাড়ির সামনে মধ্যরাতে দেদার ফাটল বাজি, ১০ জনকে গ্রেফতারির পর কী বলল আদালত?
Court: আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাদের বাড়ির ৫ শিশুকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনা দেখে এক মহিলাও পুরুষ ছুটে গেলেও তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রয়োজনে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

কোচবিহার: কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে এক্কেবারে তুলকালাম পরিস্থিতি। ব্যাপক উত্তেজনা পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে। এলাকার মহিলাদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ কোচবিহারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পাল্টা পথ অবরোধ। শেষ পর্যন্ত তিন মহিলা সহ গ্রেফতার ১০। এদিনই ধৃতদের তোলা হল আদালতে। শেষ পর্যন্ত তিন মহিলার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। বাকিদের কয়েকজনকে জেল হেফাজত ও পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা আইনজীবীও ছিলেন বলে জানা যায়।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেলঘুমটি এলাকায়। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে। মারধরের অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এক মহিলা, তাঁর স্বামী ও তাঁদের পরিবারের শিশুদের উপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।
আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাদের বাড়ির ৫ শিশুকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনা দেখে এক মহিলাও পুরুষ ছুটে গেলেও তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রয়োজনে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ সুপার। তাঁর স্পষ্ট কথা কারও গায়েই হাত দেওয়া হয়নি। ঘটনার পর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, কারও গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পর এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী বলছেন, মধ্যরাতে ওইভাবে বাজি ফাটানো কোনওভাবেই ঠিক নয়। রাত দেড়টার সময় সজোরে বাজি ফেটেছে।
