AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP: বিজেপির মিহিরের সঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতির সাক্ষাৎ, দিনহাটার ভোটের আগে শিবির বদল?

BJP MLA Mihir Goswami: সামনেই দিনহাটার উপনির্বাচন (Dinhata By Election)। তার ঠিক আগে, মহালয়ার দিন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে এলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন।

BJP: বিজেপির মিহিরের সঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতির সাক্ষাৎ, দিনহাটার ভোটের আগে শিবির বদল?
মিহির গোস্বামী ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 5:54 PM
Share

মহালয়াযর ভোর। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর (Mihir Goswami) বাড়িতে হঠাৎ উপস্থিত কোচবিহার তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন (Girindranath Burman)। আর দুই বিরোধী দলের নেতার এই সৌজন্য সাক্ষাৎকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে।

সামনেই দিনহাটার উপনির্বাচন (Dinhata By Election)। তার ঠিক আগে, মহালয়ার দিন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে এলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। দু’জনের মধ্যে একান্ত আলোচনা হল বেশ কিছুক্ষণ। আর একে কেন্দ্র করেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কী কথা হল? তৃণমূল জেলা সভাপতি কি দল ছাড়ার কথা ভাবছেন?

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন বর্ষীয়ান নেতা মিহির গোস্বামী।এবার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হেভিওয়েট তৃণমূলের প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে পরাজিত করেন প্রায় ২৪ হাজারের বেশি ভোটে। আর নাটাবাড়ি উপনির্বাচনের আগে দুই দলই যখন একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে পড়েছে, তখন মহালয়ার দিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্র নাথ বর্মনকে দেখা গেল বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে। আর এই খবরকে কেন্দ্র করেই শোরগোল শুরু হয়েছে জেলা রাজনীতিতে। যদিও দলের তরফে কিংবা মিহির বা গিরীন্দ্র কেউই এই সাক্ষাৎ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইছেন না।

তাহলে কি বিজেপিতে যোগ দিতে কোনও বার্তা নিয়ে এসেছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। উঠেছে সে প্রশ্ন। তবে দু’জনেই জানিয়েছেন বিষয়টি একেবারেই সৌজন্যমূলক। সৌজন্যের আড়ালে রাজনীতি কতটা হয়েছে তাই নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এদিকে এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মিহিরবাবু জানান, “গিরীন্দ্রনাথ বর্মন অত্যন্ত সৎ এবং সজ্জন ব্যক্তি। ওনাকে শুভকামনা জানিয়েছি।” কিন্তু সেই শুভকামনা কীসের? এদিকে মিহির বাবু চলে যাব আফগানিস্তান প্রসঙ্গে। বলেন, আফগানিস্তানের যে অবস্থা বিশ্ববাসী দেখেছে, তার পর বাংলা তথা ভারতবর্ষকে বাঁচাতে বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প ভাবা উচিত নয়।

এদিকে এদিন মহালয়ার এই সাক্ষাতের মুহূর্তকে গত বছরের বিজয়ার দিনের মিল পাচ্ছেন অনেকে। সেবার কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান লোকসভা ভোটে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া নিশীথ প্রামাণিক। বিজেপি সাংসদ ও তৃণমূল বিধায়কের এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে জল্পনা ছড়ায়। যদিও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে একে নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছিলেন মিহির ও নিশীথ দুজনেই।

এর কয়েক দিন পর অবশ্য় জল্পনা সত্যি করে বিজেপিতেই যোগ দেন মিহির গোস্বামী। বিবৃতি দিয়ে বলেন, দলনেত্রী তাঁদের মতো নেতাদের কথা শোনেন না। দলে তেমন মর্যাদা পাননি। এবার বিজেপি বিধায়ক মিহিরের সঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ-ও তেমন ইঙ্গিত কিনা তা সময়ই বলবে।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে বিহার থেকে পিকে-কে তুলে এনেছেন’, কটাক্ষ শুভেন্দুর