Bangladeshi: রাতভর চেষ্টাতেও পালাতে পারেনি, আধার-ভোটার সমেত সীমান্তে BSF-র হাতে ধরা পড়ে গেল ৫ বাংলাদেশি
Bangladeshi: বৃহস্পতিবার রাত থেকে পালানোর চেষ্টা করে এই ৫ ব্যক্তি। কিন্তু, কিছুতেই বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি। শুক্রবার ভোরে নজরে আসে স্থানীয় গ্রামবাসীদের। খবর দেওয়া হয় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের।

মেখলিগঞ্জ: তপ্ত বাংলাদেশ। কিছুতেই ঠান্ডা হচ্ছে না ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এবার মেখলিগঞ্জ সীমান্তে আটক পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক। সকলের কাছেই মিলেছে ভারতীয় পরিচয় পত্র। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পালানোর সময় মেখলিগঞ্জের বাগডোকরা মোড় এলাকা থেকে এই পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করল বিএসএফ। ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন আদম আলি (৪৭), আমিদা বিবি (৪০), রিয়া মনি (২৭), নূরজাহান (২৮), রোশনি (২৬)। ধৃতদের মধ্যে প্রথম দুজন আবার দম্পতি, বাকি তিনজন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পালানোর চেষ্টা করে এই ৫ ব্যক্তি। কিন্তু, কিছুতেই বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি। শুক্রবার ভোরে নজরে আসে স্থানীয় গ্রামবাসীদের। খবর দেওয়া হয় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ এসে তাঁদের পাঁচজনকেই পার্শ্ববর্তী সীমা চৌকিতে নিয়ে যায়। শুক্রবার একটি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ধৃতদের বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। ধৃত পাঁচজনেই বাংলাদেশের নাগরিক। বিএসএফের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তা স্বীকারও করে নিয়েছেন তাঁরা। তবে প্রত্যেকের কাছেই ভারতীয় পরিচয় পত্র যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অনেক আগে নদিয়া সংলগ্ন কোনও এক নদীর সীমান্ত দিয়ে তাঁরা এদেশে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে যে দম্পতি রয়েছেন তাঁরা বাংলাদেশের কুরিগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে খবর। ধৃত তিন জন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের দু’জনের বাড়ি ঢাকার মিরপুরে ও একজনের বাড়ি নওগা বিভাগে। কিন্তু কী করে তাঁদের হাতে ভারতীয় পরিচয় পত্র এল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
সূত্রের খবর, যে বাংলাদেশি দম্পতির খোঁজ মিলেছে তাঁরা আনুমানিক ২০ বছর আগে এদেশে প্রবেশ করে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরে গিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন। সেই সময়ে যেহেতু নতুন করে আধার তৈরি হয়েছিল, সে কারণেই সেটাকে হাতিয়ার করে খুব সহজেই তাঁরা প্রথমে আধার কার্ড এবং পরবর্তীতে একে একে পরিচয়পত্রের অনান্য নথি তৈরি করে ফেলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে একটি মাছের আড়ত চালাতো। পাশাপাশি বাকি তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন আনুমানিক চার বছর আগে একই সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেছেন। সূত্রের খবর, দু’জন পাচারকারীর সহায়তায় মেখলিগঞ্জের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ছক করেছিল সকলে। কিন্তু, বিএসএফের কানে সেই খবর পৌঁছাতেই সব ভেস্তে যায়।





