বালুরঘাট: গরু, ফেনসিডিল বা নেশার কোনও সামগ্রী নয়, এবার বাংলাদেশে পাচার করার আগে বিপুল পরিমাণের ওষুধ বাজেয়াপ্ত করলেন বিএসএফ জওয়ানরা। সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চকরাম সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা বস্তা বন্দি ওষুধ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া ওষুধের বাজার মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকা। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি বিএসএফ।
এদিকে উদ্ধার হওয়া ওষুধ মঙ্গলবার বিকেলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বালুরঘাট থানায় জমা দেওয়া হয়। পুলিশের অনুমান, ওষুধগুলো বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্তে মজুত করা হয়েছিল। তবে এই ওষুধের ইনঞ্জেকশন ঠিক কী কী কাজে ব্যবহার হয়, এবং এই ঘটনায় কারা জড়িত, তার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ভারত- বাংলাদেশের চকরাম সীমান্ত চৌকি থেকে ৪৫০ মিটার দূরে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে একটি বাঁশ বাগানের মধ্যে জমায়েত করা হয়েছিল ওই ওষুধগুলি। সেখান থেকে কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশ ওষুধগুলি পাচারের পরিকল্পনা ছিল। সোমবার রাতে ১৩৭ নং ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ওই সীমান্তে প্রহরারত ছিলেন। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান, একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বিএসএফ জওয়ানরা বুঝে যান, পাচারের উদ্দেশ্যেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে থামতে বলেন তাঁরা। কিন্তু, অন্ধকারের সুযোগে লোকটি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যান।
তারপর জওয়ানরা রাতেই সেখানে তল্লাশি চালান। কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় তল্লাশি চলে। সেখানে চারটি বড় বড় প্যাকেট উদ্ধার হয়। খুলে দেখা যায় ভিতরে বিপুল পরিমাণ ওষুধ রয়েছে। সেখানে সিরিঞ্জ সহ নানা ধরনের ওষুধ রয়েছে।
বিএসএফের দাবি, উদ্ধার হওয়া ওষুধের মোট দাম ৩ লক্ষাধিক টাকা। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ভারতীয় না বাংলাদেশি, তা জানা যায়নি। এই বিপুল পরিমাণ ওষুধ এ রাজ্যের কোথা থেকে কেনা হয়েছিল, কীভাবে সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এর পিছনে আরও কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।