Balurghat Hospital: সকাল থেকে দেহ নিয়ে ঠাঁই বসে, মর্গে দেখা নেই চিকিৎসকের
Balurghat Hospital: এনিয়ে একবার হাসপাতালে একবার সুপারকে জানিয়েও হয়নি কোন লাভ।
বালুরঘাট: সকাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে বসে আছেন বালুরঘাট পুলিশ মর্গে৷ বেলা তিনটে গড়িয়ে গেলেও দেখা মিলছে না চিকিৎসকের। এনিয়ে একবার হাসপাতালে একবার সুপারকে জানিয়েও হয়নি কোনও লাভ। এদিকে খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে সকলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের এনে বসে আছেন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পুলিশ মর্গে। বিকেল তিনটে বাজলেও চিকিৎসক না আসায় হাসপাতাল সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার পরিজনরা৷
দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার নয় এই সমস্যা নিত্যদিনের৷ কারণ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে নেই স্থায়ী কোন চিকিৎসক। যার ফলে প্রায় দিনই বিকেলের দিকে দেহের ময়নাতদন্ত হয়৷ যদিও পুরো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার মধ্যে তপনের করদহ থেকে মৃতদেহ নিয়ে এসেছেন গৌরাঙ্গ ঘোষ সহ অন্যান্যরা। ঠিক তেমনিভাবে সকালে কুমারগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মোল্লাদিঘি এলাকার এক স্বাস্থ্য কর্মীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। বংশীহারী থেকে আরও একটি দেহ আসে বালুরঘাটে। তিনটি দেহ সকালে এলেও সেগুলোর ময়নাতদন্ত হয়নি।
বুধবার বিকেল তিনটে বাজলে দেখা মেলেনি চিকিৎসকের। যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের৷ কুমারগঞ্জ ব্লকের মোল্লাদিঘি এলাকা একদম বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা৷ বিকেল পাঁচটার মধ্যে না গেলে তাদের ঢুকতে দেবে না।
দ্রুত ময়নাতদন্ত করার দাবিতে পরে একাধিক মৃতের পরিবার পরিজনরা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে ফোন করেন। তার কিছু পরে মর্গে আসে চিকিৎসক৷
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে নেই কোন স্থায়ী চিকিৎসক। যার ফলে একেক দিন একেক চিকিৎসক ময়নাতদন্তের জন্য আসেন। কোনদিন সময় মত আসলেও অনেক দিন বিকেল গড়িয়ে গেলেও চিকিৎসক আসে না বলে অভিযোগ। তাই পুলিশ মর্গে স্থায়ী চিকিৎসকের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।