Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat: ‘পায়ে ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি হয়েছিল, ডাক্তার বলল সেরে গেছে, এখন এসে দেখি শরীর পুরো ঠান্ডা, ও তো চলেই গেল’

Balurghat: জানা গিয়েছে, মৃতার নাম চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামী (৪২)। বাড়ি তপন থানার চকভগীরথে। গত ২৭ তারিখ পায়ে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Balurghat: 'পায়ে ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি হয়েছিল, ডাক্তার বলল সেরে গেছে, এখন এসে দেখি শরীর পুরো ঠান্ডা, ও তো চলেই গেল'
মৃতার স্বামীImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2024 | 8:10 AM

বালুরঘাট: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ। মৃত্যু রোগীর। এমন অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিকেলে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। এদিকে অভিযোগ পেতে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এদিকে বারংবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, মৃতার নাম চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামী (৪২)। বাড়ি তপন থানার চকভগীরথে। গত ২৭ তারিখ পায়ে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিবারের দাবি, সোমবার চিকিৎসক চন্দনাদেবীকে দেখার পর বলেন, পায়ের ইনফেকশন কমে গিয়েছে। এক বা দু’দিনের মধ্যে ছুটি দিয়ে দেবেন। সেই কারণে পরিবারের সদস্যরা আর তোয়াক্কা করেননি। এরপর গতকাল রাত্রিবেলা হাসপাতালে কেউ ছিলেন না।

মঙ্গলবার সকালে মৃতার স্বামী বিপুল বিক্রম গোস্বামী হাসপাতালে চা ও সকালের খাবার নিয়ে এসে দেখেন স্ত্রীর শরীর পুরো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জানান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। পরে চিকিৎসক এসে চন্দনাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এরপরই সরব হয় পরিবার। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত থেকে রোগী অসুস্থ থাকার পরও কেন তাদের একবারও ফোন করা হল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তারা। গোটা ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। যদিও এ প্রসঙ্গ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মুখ খুলতে চাননি। মহিলার স্বামী বলেন, “ওরা বলেছিল পায়ের ইনফেকশন কমে গেছে। ছেড়ে দেবে। আজ সকালে চা-বিস্কুট এনে দেখি ওর শরীর পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছে।”