পুলিশের মানবিক মুখ, লকডাউনে নিঃসঙ্গ প্রবীণদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে গঙ্গারামপুর থানা
বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবার একটা লকডাউন। করোনার শৃঙ্খলার ভাঙতে ফের ঘরবন্দি হয়েছেন মানুষ। এই প্রেক্ষিতে মানবিক গঙ্গারামপুর পুলিশ প্রশাসন। লকডাউনের মাঝে নিঃসঙ্গ প্রবীণদের বাড়ি বাড়ি রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তারা।
গঙ্গারামপুর: বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবার একটা লকডাউন। করোনার শৃঙ্খলার ভাঙতে ফের ঘরবন্দি হয়েছেন মানুষ। এই প্রেক্ষিতে মানবিক গঙ্গারামপুর পুলিশ প্রশাসন। লকডাউনের মাঝে নিঃসঙ্গ প্রবীণদের বাড়ি বাড়ি রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তারা।
এদিকে পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে রান্না করা খাবার পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রবীণ নাগরিকরা। শুক্রবার দুপুরে গঙ্গারামপুর শহরের প্রায় ৫০ জন নিঃসঙ্গ প্রবীণের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেন খোদ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপ কুমার দাস, আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মী। খাবার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি লকডাউনের মাঝে যে কোনও সমস্যায় নিঃসঙ্গ প্রবীণদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন পুলিশকর্তারা।
কোভিডের দ্বিতীয় ধাপে গোটা দেশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যজুড়ে বাড়ছে সংক্রামিত ও মৃতের সংখ্যা। এমতাবস্থায় গত ১৬ মে থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত ১৫ দিনের কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। করোনার প্রকোপ রুখতে ও লকডাউন সফল করতে সকলকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এই অবস্থায় কাজকর্ম হারিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। তেমনি লকডাউনের জন্য বাড়ি থেকে বেরোতে না পেরে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিঃসঙ্গ প্রবীণরা। তাই গত বছরের মতো এবছরেও লকডাউনে গঙ্গারামপুর শহরের নিঃসঙ্গ প্রবীণদের পাশে দাঁড়াল গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! বাংলার কোন কোন এলাকায় বেশি বিপদের আশঙ্কা? দিন নির্ধারিত করে সতর্কবার্তা
পুলিশের এই ভূমিকায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি প্রবীণরা।