Balurghat: কিছুতেই ফলত না ফসল, লক্ষ্মীর আরাধনাতেই ‘ম্যাজিক’, বালুরঘাটের এই গ্রামের কথা আজও ফেরে মুখে মুখে
Balurghat: পুজোর পাশাপাশি এখানে বসে বিশাল মেলা। গোপীনগরের বারোয়ারী লক্ষ্মী পুজো কমিটির আয়োজনে এবারের লক্ষ্মীপুজো ৭৩ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। দুর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজোই এই গ্রামের সব থেকে বড় উৎসব।

বালুরঘাট: সময়টা স্বাধীনতার পরের কিছু বছর। কৃষি জমিতে ধান হত না। অনেক চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। কোনও ফসলই প্রায় ফলত না। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হত এলাকার শতাধিক কৃষকদের। বিপাকে পড়ে লক্ষ্মীর শরানাপন্ন হন এলাকার কৃষকরা। শুরু হয় লক্ষ্মীপুজো। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, পুজোর পর থেকেই ফুলেফলে ভরে ওঠে গোটা গ্রাম। এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস তাঁদের পূর্বপুরুষদের লক্ষ্মীপুজোর কারমেই শ্রীবৃদ্ধি হয়েছিল গোটা গ্রামের। এই গল্প আজও মুখে মুখে ঘোরে বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপিনগর এলাকায়। মহাসমারোহে এখানে চলে আসছে লক্ষ্মীর আরাধনা।
পুজোর পাশাপাশি এখানে বসে বিশাল মেলা। গোপীনগরের বারোয়ারী লক্ষ্মী পুজো কমিটির আয়োজনে এবারের লক্ষ্মীপুজো ৭৩ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। দুর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজোই এই গ্রামের সব থেকে বড় উৎসব। পুজোকে কেন্দ্র করে তিনদিন ধরেই গ্রামে চলে মেলা ও নানা অনুষ্ঠান। গ্রামে লক্ষ্মীর সঙ্গে রাম, লক্ষ্মণ ও লব-কুশেরও পুজো করা হয়।
গ্রামের প্রবীণদের বিশ্বাস ধনলক্ষ্মীর আরাধনাতেই তাঁদের শ্রী বৃদ্ধি হচ্ছে। তাই আজও গোপীনগর গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ। এখন যদিও বর্তমান প্রজন্ম পূর্বপুরুষদের আমলে শুরু হওয়া এই পুজোর হাল ধরেছে। পুরনো রীতির রেওয়াজ মেনেই পুজোর আয়োজন করে চলছে। গ্রামের পুজো দেখতে ভিড় জমান দূরদূরান্তের বহু মানুষ। মেলায় চলে কেনাকাটি, খাওয়া-দাওয়া। ঘুরে বেড়াতে থাকে যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই গল্প।
