South Dinajpur: জন্মের পরেই দুধ খেতে গিয়ে মৃত্যু সদ্যজাতের, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গুরুতর অভিযোগ পরিবারের
South Dinajpur: গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠ্যাঙ্গাপাড়া বাতাসকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা শম্পা রায়। স্বামী হেমন্ত হালদার। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক সন্দীপ লাহিড়ীর পরামর্শে স্ত্রী শম্পা রায়কে ডেলিভারির জন্য ভর্তি করান গঙ্গারামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। যেখানে ওই দিন রাতেই অস্ত্রোপচারের পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শম্পাদেবী।
গঙ্গারামপুর: বোতলে করে সদ্যোজাতকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল মৃত শিশুর পরিবার। অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ৷ শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠ্যাঙ্গাপাড়া বাতাসকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা শম্পা রায়। স্বামী হেমন্ত হালদার। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক সন্দীপ লাহিড়ীর পরামর্শে স্ত্রী শম্পা রায়কে ডেলিভারির জন্য ভর্তি করান গঙ্গারামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। যেখানে ওই দিন রাতেই অস্ত্রোপচারের পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শম্পাদেবী। অস্ত্র প্রচারের পর মা ও সন্তান সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল বলেই জানিয়েছেন শিশুর পরিবার। এদিকে শিশুকন্যাটি তার মায়ের কাছ দুধ না পাওয়ায় বাইরে থেকে প্যাকেটজাত দুধ কিনে খাবারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এমনটাই জাবি পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, এরপরেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সেখানে থাকা প্যাকেটজাত দুধ একটি বোতলে করে শিশুটিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন।
অভিযোগ, সেই দুধ খাওয়ার সময়েই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতেই তড়িঘড়ি অসুস্থ শিশু কন্যাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেও শিশুটির শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শিশুটিকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই শিশুটির মৃত্যু হয়৷ বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত শিশুর পরিবার। এমনকি নার্সিংহোমে ভাঙচুর করা হয় বলেও অবিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি পুলিশের কাছে। ঘটনার পর থেকে চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।