Tapan: পরীক্ষা বাতিল করে বাৎসরিক অনুষ্ঠান, প্রতিবাদে কলেজে বিক্ষোভ, বৈঠকে বেরল সমাধান
Tapan: বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৩০ তারিখে কলেজের বাতিল হওয়া পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়৷ এদিকে আজও ঝামেলা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল তপন কলেজ চত্বরে।
তপন: পরীক্ষা বাতিল করে করা হচ্ছিল কলেজের বাৎসরিক অনুষ্ঠান। ছাত্র ছাত্রীদের এক রকম অন্ধকারে রেখে কলেজের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে গতকাল রাত পর্যন্ত কলেজের গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তপন নাথানিয়াল মুর্মু মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তপন থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে পুলিশ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির অমরনাথ ঘোষের হস্তক্ষেপে রাতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার কলেজের পড়ুয়াদের নিয়ে বৈঠক করেন কলেজের টিআইসি ও পরিচালন সমিতির সভাপতি অমল রায়। সেখানে অনুষ্ঠান পরে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৩০ তারিখে কলেজের বাতিল হওয়া পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়৷ এদিকে আজও ঝামেলা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল তপন কলেজ চত্বরে। সরস্বতী পূজার পর কলেজের অনুষ্ঠানের দিন করা হবে বলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। যদিও পরিচালনা সমিতির সভাপতি অমল রায়ের বক্তব্য, “আমি ৩০ তারিখে অনুষ্ঠান হওয়ার পক্ষেই ছিলাম। যেহেতু ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই তাতে সহমত জানিয়েছি।”
সূত্রে খবর, তপন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি অমল রায় মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ঠ। আগামী ৩০ তারিখ গঙ্গারামপুর কলেজেও অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই ওই একই দিনে তপন কলেজে অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাহলে তপন কলেজের অনুষ্ঠানেও মন্ত্রী থাকতেন। তাই তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতেই বেজায় চটে যায় বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা নেতৃত্ব থেকে কলেজ নেতৃত্বরা। কলেজের অনুষ্ঠান ছাত্রদের নিয়েই। তাহলে কেন তাদের অন্ধকারে রেখে এমন হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।