শিলিগুড়ি: চব্বিশের লোকসভায় প্রার্থী হননি তিনি। বলা ভাল, বিজেপি প্রার্থী করেনি। তারপর থেকে ‘দুয়ার এঁটেছেন’। দলের সঙ্গে ক্রমেই বেড়েছে দূরত্ব। খোদ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর বাড়িতে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু না,বরফ হয়ত গলেনি। রাজনীতির অলিগলিতে শোনা যাচ্ছে, পদ্মশিবির ছাড়তে চলেছেন তিনি। কথা হচ্ছে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকে নিয়ে।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানেই নাকি যোগ দিতে পারেন তিনি। অন্তত সেই ইঙ্গিত নিজেই দিয়েছেন প্রাক্তন এই সাংসদ। এমনকী, সাংবাদিকরা বিজেপি-র নেতা কি না প্রশ্ন করায় বার্লার উত্তর, “দেখুন না ভবিষ্যতে কী হয়…।”
এক সময় এই বার্লাই প্রথম উত্তরবঙ্গ বিভাজনের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। যদিও, বিষয়টি সঙ্গে-সঙ্গে নাকচ করে দেয় রাজ্য বিজেপি। দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা সেই সময় বলেছিলেন, এই মত একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। সেই সময় জনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এই দাবি একশো বছরের পুরনো। জনতার দাবি। দমিয়ে রাখা যাবে না।” এরপর অনেকটা সময় কেটেছে। তাঁর দূরত্ব বেড়েছে দলের সঙ্গে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “জন বার্লা ছিল না বলে মাদারিহাট সিট বিজেপি হেরেছে।” এমনকী অভিযোগ করেছেন, এই এলাকায় তিনি রেলের হাসপাতাল করতে চেয়েছিলেন, দলের অন্দরের বিরোধের জন্য তা করা যায়নি। তিনি জননেতা হতে চান। রাজনৈতিক হতে চান না।
জন বার্লা এও বলেছেন, “মমতা রাজ্যের অভিভাবক। তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি থাকলে এলাকায় উন্নয়ন করা সম্ভব। তাই তিনি দেখা করতে যাবেন।” এরপরই প্রশ্ন উঠছে, ছাব্বিশের কি তাহলে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে এলাকায় উন্নয়ন করতে চান তিনি? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে ছাব্বিশের ভোটের আগে নিঃসন্দেহে তা বড় ধাক্কা বিজেপির। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপির গড় উত্তরে কিন্তু টালমাটাল অবস্থা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নজর থাকবে কী হয়।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “উনি জনগণের কাজ করতে চাইলে করবেন। আগামী দিনে উনি জনগণের জন্য কী কী কাজ করেছেন সেই হিসাব তুলে ধরব।”