AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Siliguri: বাংলা কথা বলায় চাকরি গেল অভিষেক সেনগুপ্তর, গুরুতর অভিযোগ উঠল শহর থেকে

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে খাস কলকাতায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে বাংলা বলার জন্য হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর আবারও বাংলায় উঠল এমন গুরুতর অভিযোগ।

Siliguri: বাংলা কথা বলায় চাকরি গেল অভিষেক সেনগুপ্তর, গুরুতর অভিযোগ উঠল শহর থেকে
অভিষেক সেনগুপ্তImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2025 | 1:48 PM
Share

শিলিগুড়ি: এবার আর ভিন রাজ্য নয়। পশ্চিমবঙ্গেই বাঙালিকে হেনস্থার অভিযোগ। হিন্দি না বলে বাংলা বলায় দাগিয়ে দেওয়া হল ‘বাংলাদেশি’ বলে। চাকরিও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি শিলিগুড়ির। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে খাস কলকাতায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে বাংলা বলার জন্য হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর আবারও বাংলায় উঠল এমন গুরুতর অভিযোগ।

জানা যাচ্ছে, এইচআর ম্যানেজার হিসেবে গত মার্চে শিলিগুড়িতে ‘টি লিঙ্কার্স ও বনসল টি’ নামের এক কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক সেনগুপ্ত। শিলিগুড়িতেই তাঁর জন্ম এবং বড় হওয়া। বাবা ছিলেন রেলকর্মী। অভিষেকের দাবি, ওই সংস্থার সংখ্যালঘু নিয়োগে আপত্তি ছিল। সেই কারণে এক সংখ্যালঘু নিরাপত্তা কর্মীকে ছাঁটাই করে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, “আমি ওই কর্মীকে ফেয়ারওয়েল দিই। তারপরই আমি বিষনজরে পড়ে যাই। এরপরেই গত এক মাসে আমাকে মানসিক নির্যাতন করা হয়। তারপর মুখে বলা হয় দফতরে হিন্দিতে বলতে হবে। বাংলায় কথা বলা যাবে না। আর একই সঙ্গে বলা হয় ওপার বাংলা থেকে এসে নাম ভাড়িয়ে আমি হিন্দু সেজে আছি। এ নিয়ে আমি মেয়র গৌতম দেবকে জানিয়েছি। পুলিশেও জানিয়েছি। ওরা ভীন রাজ্য থেকে আমার রাজ্যে এসে কেন বাংলা ছাড়তে বলবে?”

এ প্রসঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির এক কর্তা বলেন নিকুঞ্জ বনশল বলেন, “কিছু জানতে হলে পুলিশে যোগাযোগ করুন। আমার সঙ্গে নয়। আমি কথা বলব না।” মেয়র গৌতম দেব বলেন, “টক টু মেয়রে উনি বলেছেন। শিলিগুড়ি থানার পুলিশকে আমি বলেছি। আমি প্রাথমিকভাবে পুলিশকে বলেছি ওঁর বাড়িতে যেতে। খুব নম্রভাবে যেন ব্যবহার হয়। ওঁর উদ্বেগ দূর করা যেন যায় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। ১১ সেপ্টেম্বরের পর আমি প্রয়োজনে ওঁর বাড়ি যাব। শিলিগুড়িতে এই ঘটনা ঘটবে না। আর যদি ঘটে যথাযথভাবে যেন তদন্ত হয় আমি দেখব।”