Asansol: মদ খেয়ে উর্দিধারীর গড়াগড়ি, আসানসোল কোর্ট চত্বরে বেসামাল পুলিশ

Asansol:মদ খেয়ে কোর্ট চত্বরে গড়াগড়ি খাচ্ছেন খোদ পুলিশ কর্মী। ব্যাপক চাঞ্চল্য আসানসোলে।

Asansol: মদ খেয়ে উর্দিধারীর গড়াগড়ি, আসানসোল কোর্ট চত্বরে বেসামাল পুলিশ
ছবি - আসানসোল কোর্ট চত্বরে মদ্যপ অবস্থায় গড়াগড়ি পুলিশ কর্মীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 5:29 PM

আসানসোল: আইন রক্ষার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে তাঁরাই যদি দিনে-দুপুরে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখান তাহলে সমাজের হাল কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আসানসোল কোর্ট চত্বরে মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ কর্মীর(Drunk policeman) বেসামাল অবস্থা দেখে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোল কোর্ট চত্বরে। ওই ব্যাক্তির ইউনিফর্মে সন্তোষ কুমার নামে নেম প্লেট লাগানো ছিল। এদিন তাঁকে আসানসোল (Asansol) কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের হলের সামনে পাওয়া যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খোদ পুলিশ কর্মীর এই অবস্থা দেখে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও। এমনকী তাঁর পরিচয় নিয়েও প্রাথমিক ভাবে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

এদিকে আদালতে থাকা আইনজীবীরাও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই দৃশ্য দেখে। অবশেষে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের গাড়ি এসে ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য রাখা না হলেও, সন্তোষ কুমার যে শারীরিক ভাবে অসুস্থ তা স্বীকার করে নেওয়া হয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পক্ষ থেকে। এদিকে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের (Asansol Bar Association) সভাপতি বানি মন্ডল। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা সমাজের বুকে খুবই খারাপ বার্তা দেয়। আমরা সবসময় প্রশাসনের সঙ্গে রয়েছি। সমাজ যাতে ভালো ভাবে চলে সেটা আমরা দেখব”। আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনারের কাছে তদন্তের দাবিও জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদেরও। স্থানীয় বাসিন্দা বুদ্ধদেব পাল বলেন, “আমি যখন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কোর্ট চত্বরে আসি তখন দেখি ওই পুলিশ অফিসার পুলিশের পোশাক পরে মদ্যপ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। দু’জন ছেলে তাঁকে ধরে গাছের তলায় রেখে যায়। তখন আমি আর এক পুলিশ অফিসারকে ডেকে ঘটনাটি দেখতে বলি, কিন্তু উনি তাতে পাত্তা না দিয়ে কোথায় হাওয়া হয়ে গেলেন। রাজ্য তাহলে এই ভাবে চলবে? যে রক্ষক সেই ভক্ষক? যাঁদের নিরাপত্তা আমরা বেঁচে আছি তাদের আজ এই অবস্থা হলে আমরা কোথায় যাব”?