AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: ‘এমন মেরেছে যে পায়খানা করে ফেলেছে’, শিশুপুত্রকে খুনের অভিযোগ সৎ মায়ের বিরুদ্ধে

Hooghly: স্ত্রীর মৃত্যুর পর কৃষ্ণের বাবা স্বর্ণেন্দু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার মারিটা গ্ৰামের গৃহবধূ সোমা দাসকে মাস দেড়েক আগে বিয়ে করেন। সোমা দাসের ২ সন্তান রয়েছে। তিনি স্বামী ও এক ছেলেকে ছেড়ে রেখে অন্য ছেলেকে নিয়ে স্বর্ণেন্দু‌ কোলের বাড়ি চলে আসেন।

Hooghly: 'এমন মেরেছে যে পায়খানা করে ফেলেছে', শিশুপুত্রকে খুনের অভিযোগ সৎ মায়ের বিরুদ্ধে
ধৃত সোমা দাসImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2025 | 8:33 PM
Share

হুগলি: মৃত্যু হয়েছে মায়ের। বাবা আবার বিয়ে করেছেন। সেই সৎ মায়ের বিরুদ্ধে এক শিশুপুত্রকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি হুগলির খানাকুল থানার জগন্নাথপুর গ্রামের। মৃত শিশুপুত্রের নাম কৃষ্ণ কোলে। বয়স চার বছর।

জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে স্বর্ণেন্দু কোলে ভালবেসে খানাকুলের কায়বা গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা বক্সিকে বিয়ে করেন। তাঁদের পুত্র কৃষ্ণ কোলে। বছর দুয়েক আগে হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতায় প্রতিমার মৃত্যু হয়। তখন মাত্র দু বছর বয়স ছিল ছেলে কৃষ্ণের। তারপর থেকেই কৃষ্ণ দিদা ও ঠাকুমার কাছে বড় হতে শুরু করে।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর কৃষ্ণের বাবা স্বর্ণেন্দু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার মারিটা গ্ৰামের গৃহবধূ সোমা দাসকে মাস দেড়েক আগে ভালবেসে বিয়ে করেন। সোমা দাসের ২ সন্তান রয়েছে। তিনি স্বামী ও এক ছেলেকে ছেড়ে রেখে অন্য ছেলেকে নিয়ে স্বর্ণেন্দু‌ কোলের বাড়ি চলে আসেন। দিন পনের আগে স্বর্ণেন্দুবাবু সুরাটে সোনার কাজ করতে যান।

শনিবার কৃষ্ণের মামা বাড়িতে হঠাৎই খবর যায়, কৃষ্ণের মৃত্যু হয়েছে। মামা বাড়ির লোকের অভিযোগ, কৃষ্ণকে মারধর করে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছেন সোমা। কৃষ্ণের দাদু বংশীবদন বক্সি খানাকুল থানায় সোমার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে রবিবার সকালে খানাকুলের পাঁচুইখানা থেকে সোমাকে গ্রেফতার করে। এদিন তাঁকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন স্বর্ণেন্দুবাবু। তিনি বলেন, “যদি সোমা ছেলেকে মেরে থাকে, তাহলে আদালত তাঁকে ফাঁসির সাজা দিক।” কৃষ্ণ কোলের মামাবাড়ির লোকজন বলেন, “আমরা গিয়ে দেখি কৃষ্ণকে মেরে কম্বল চাপা দিয়ে রেখেছে। মারের চোটে মাথা ফেটে গিয়েছে। পায়খানা পর্যন্ত করে ফেলেছিল। শেষে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেরেছে।”