Ayan Sil: নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘কীর্তিমান’ অয়নের পর ইডি-র র‍্যাডারে শমীক

Ayan Sil: তারপর থেকেই কীর্তিমান অয়নের বিষয়ে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। দেখা যাচ্ছে, তিনি শুধু প্রোমোটারই নন, আরও অনেক গুণই রয়েছে।

Ayan Sil: নিয়োগ দুর্নীতিতে 'কীর্তিমান' অয়নের পর ইডি-র র‍্যাডারে শমীক
ইডি-র নজরে এবার শমীক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 4:29 PM

হগলি: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অয়ন শীলের (Ayan Sil) সল্টলেকের বাড়ি থেকে গাদা গাদা ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অয়নের যোগ খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। তারপর থেকেই কীর্তিমান অয়নের বিষয়ে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। দেখা যাচ্ছে, তিনি শুধু প্রোমোটারই নন, আরও অনেক গুণই রয়েছে। সিনেমা,সিরিয়াল, হোটেল ব্যবস্থা কী ছিল না। আর অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। নাম উঠে আসে এক সে এক ঘনিষ্ঠর। সেই রকমই একটি নতুন নাম শমীক চৌধুরী।

কে শমীক?

ইডি সূত্রে খবর, সল্টলেকে অয়ন শীলের হোটেলের খোঁজ মেলে। শমীকের নামে সেই হোটেল চলত বলে জানা গিয়েছে। অয়ন গ্রেফতারের পর তাঁর ঘনিষ্ঠরা ইডি স্ক্যানারে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অয়নের সম্পত্তির খোঁজ মেলে। সেই সূত্র থেকেই নাম উঠে আসে শমীকের। সূত্রের খবর, অয়নের এবিএস ইনফ্রাজোন প্রাইভেড লিমিটেড নামে নির্মাণ সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর এই শমীক চৌধুরী।

এলাকাবাসী সূত্রে খবর, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেই এলাকা ছাড়েন শমীক চৌধুরী। এক সময়ের এলআইসি এজেন্ট শমীক ক্রমে অয়ন ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। নিয়োগের নামে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল অয়নের বিরুদ্ধে,সেই কাজে সঙ্গী ছিলেন শমীক। সূত্রের খবর, অয়ন চুঁচুড়া ছাড়ার পর শমীকের বাড়িতে পাওনাদাররা গিয়ে ঝামেলা করতে থাকে।

হুগলির চকবাজার এলাকায় দোতলা বাড়ি শমীকের। সূত্রের খবর অয়ন চুঁচুড়া ছাড়ার পর শমীকের বাড়িতে পাওনাদাররা গিয়ে ঝামেলা করতে থাকে। জানা গিয়েছে চুঁচুড়ার বাড়িতে বেশিদিন থাকেননি অয়ন। বছর খানেক আগে ওই দোতলা বাড়ির নিচের তলায় ভাড়া দেওয়া হয় এক পরিবার কে। ভাড়াটিয়াদের দাবি, এগ্রিমেন্ট করে ভাড়া দিয়েছে শমীক ওরফে বাপ্পা। ভাড়াটিয়া প্রদীপ দাস বলেন,”মাসে মাসে ভাড়া দিই। কোনও-কোনও মাসে বাড়ি এসে ভাড়া নিয়ে যান শমীকের স্ত্রী।গতমাসে শেষবারের মত এসেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “শুনেছি ওরা কলকাতায় থাকেন। তবে কোথায় থাকে জানি না। আগে শুনেছিলাম যে ধরা পড়েছে। তাই আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। কলকাতায় হোটেল করেছে। সেখানে থাকে বলে এই বাড়ি ভাড়া দেয়।”