AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: ঢুকে পড়ল রাজনীতি, রাজ্যে আলুতেও হল ‘ভাগাভাগি’

Hooghly: সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ প্রোগ্রেসিভ পটেটো গ্রোওয়ার্স এন্ড ট্রেডার্স অ্য়াসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রীরা। সেই অনুষ্ঠান থেকে কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী চান সব শ্রেণির মানুষের ভাল হোক।

Hooghly: ঢুকে পড়ল রাজনীতি, রাজ্যে আলুতেও হল 'ভাগাভাগি'
সংগঠন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিষদীয় মন্ত্রীImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2025 | 5:08 PM
Share

হুগলি: নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাস্তবায়ন হল রবিবার। সারা রাজ্যজুড়ে তৈরি হল একটি নতুন আলু সংগঠন। এদিন হুগলির হরিপালে সেই নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল একটি বৈঠক। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তথা কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কৃষিজ বিপনন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না, প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার-সহ রাজ্যের একাধিক বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।

সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ প্রোগ্রেসিভ পটেটো গ্রোওয়ার্স এন্ড ট্রেডার্স অ্য়াসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রীরা। সেই অনুষ্ঠান থেকে কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চান সব শ্রেণির মানুষের ভাল হোক। সব কিছুই আলোচনার বিষয়। কিন্তু তা না করে ধর্মঘট ডেকে দেওয়া ঠিক নয়।’

এই নতুন সংগঠনটিকে ধরলে বর্তমানে রাজ্যে আলু ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সংখ্য়া দাঁড়াল দু’টি। এতদিন পর্যন্ত আলু নিয়ে্ যাবতীয় সমস্যা হলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসত পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। তা হলে যখন একটা সংগঠন ছিলই, তবে কেন আবার একটি সংগঠন তৈরির দরকার পড়ল?

ঘটনার সূত্রপাত গতবছর। রাজ্যের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীদের ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। খোদ এই সেই আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই নিষেধাজ্ঞার পরেই রাজ্যজুড়ে দেখা যায় ধর্মঘট। আন্দোলনে বসেন একাংশের আলু ব্যবসায়ীরা। যার জেরে রাজ্য-আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা তাপ-উত্তাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এবার সেই বিবাদ ঘিরেই যেন তৈরি হয়ে গেল নতুন সংগঠন। অন্তত মন্ত্রীর বক্তব্যে সেই ব্যাপারটা একেবারে স্পষ্ট। হরিপালের বৈঠক থেকে রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বললেন, ‘যে সংগঠন ছিল, তারা সরকারকে বিপাকে ফেলত এবং সরকারের সিদ্ধান্ত মানত না। সেই জন্যই এই বিকল্প ব্যবস্থা।’

অবশ্য, আগের আলু সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘সংগঠন যদি অন্য কোনও ব্যবসায়ীরা করত, তা হলে ঠিক ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সংগঠন তৈরি করা খুব প্রয়োজন ছিল। কারণ, আমরা তাদের সঙ্গে ক্রমাগত সহযোগিতা করেছি। যখন দাম নিয়ন্ত্রণে দ্বন্দ্ব হয়েছিল, তখন আমরা বারংবার বলেছি এটা আমাদের হাতে নয়। আমাদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। কিন্তু তারপরেও কোনও লাভ হয়নি।’