হুগলি: হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। তারপরই জামাই ষষ্ঠী। এদিকে ষষ্ঠীর আগেই যেন ভিড়ের সেই চেনা ছবিটা ফিরল মিষ্টির দোকানগুলিতে। রকমারি সব মিষ্টি কেনার জন্য পড়ল লাইন। মুখে হাসি ব্যবসায়ীদের। রাত পোহালেই ভোটের রেজাল্ট। প্রায় আড়াই মাসের উৎসব শেষে রেজাল্টের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে গোটা দেশ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের অন্দরেই। আবির কেনা তো চলছেই সঙ্গে মিষ্টি। আর তাতেই ষষ্ঠীর আগেই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে দিকে দিকে।
ভোটপুজোর আবহে মিষ্টিতেও দেখা যাচ্ছে রাজনীতির রঙ। তৃণমূল থেকে বিজেপি, বাম থেকে কংগ্রেস সব দলেরই প্রতীক দেওয়া সন্দেশ তৈরি করেছে পান্ডুয়ার এক মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান। তবে অবশ্যই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সামনে আসার পর হাওয়া বুঝিয়েই কিছু কিছু মিষ্টির সংখ্যা তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, লাল, গেরুয়া, সবুজ রঙের রসগোল্লার পাশাপাশি বোঁদের চাহিদা ভালই রয়েছে।
এদিকে ভোটের আবহে এইসব রকমারি মিষ্টির দেখা পেয়ে খুশি ক্রেতারও। সকলেই বলছেন, ভোটের ময়দানে জেতা-হারা থাকবেই। কিন্তু, উৎসবের আবহটা যেন কোনওভাবেই দুঃখের অতলে না চলিয়ে যায়। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পাল বলছেন,অন্যান্য উৎসবের মতোই ভোটও তো একটা উৎসব। আর সে কারণেই বিভিন্ন দলের রঙের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই রকম সন্দেশ, রসগোল্লা নিয়ে চলে এসেছি আমরা। বড় বড় অর্ডারও আসছে। দামের ক্ষেত্রে নানা চাহিদা মেনে সেই অনুযায়ী দাম করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে তো দামি মিষ্টির খুব একটা চল নেই তাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের কথা মাথায় রেখেই রসগোল্লা, বোঁদে তৈরি করা হয়েছে। তবে আমাদের মনে হয় রেজাল্ট বের হলে মিষ্টির চাহিদা আরও বেড়ে যাবে।
এদিকে মিষ্টি নিয়ে কাজিয়া চলছে তৃণমূল, বিজেপির মধ্যে। পান্ডুয়ার তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষের দাবি, মিষ্টি যে রঙেরই হোক মানুষ সবুজকে বেছে নিয়েছে। এলাকারই বিজেপি নেতা অমিতাভ ঘোষ বলছেন শেষ কথা বলবে গেরুয়াই। তাই গেরুয়া মিষ্টির চাহিদা বাড়বে ভোটের ফল বের হলেই।