Last Rite: শ্মশান যাত্রায় ডিজে! মৃত্যুতেও আনন্দ উল্লাস
হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুর ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা সরযূ বালা পাসের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলস ১০০ বছরের বেশি। তেঁতুলিয়া গ্রামে থাকেন তাঁর পুত্র আনন্দ পাল। সেই বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পরের দিন শ্মশানে শবদাহ করতে নিয়ে আসা হয়।
বলাগড়: তারস্বরে বাজছে ডিজে। তার সামনে ভাল ভিড়ও রয়েছে। সকলে ভাবছেন বছরের শেষে হয়তো কেউ এ ভাবে পিকনিক করতে যাচ্ছেন। কিন্তু সামনে এসেই ভাঙছে ভুল। এ কোনও পিকনিকের শোভাযাত্রা নয়। মৃতের শ্মশান যাত্রা। শেষকৃত্যের যাত্রাতেই চলছে ডিজে বাজিয়ে উল্লাস। সম্প্রতি এই দৃশ্যের দেখা মিলেছে হুগলি জেলার বলাগড়ে। তা দেখে রীতিমতো অবাক সকলে। ঘটনার ভিডিয়ো নিয়ে আলোচনা চলছে নেটমাধ্যমেও।
হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুর ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা সরযূ বালা পাসের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলস ১০০ বছরের বেশি। তেঁতুলিয়া গ্রামে থাকেন তাঁর পুত্র আনন্দ পাল। সেই বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পরের দিন শ্মশানে শবদাহ করতে নিয়ে আসা হয়। তবে মৃত্যু মানেই শোক তা কিন্তু এখানে একটি বারও বোঝা যায়নি। রীতিমতো বক্স বাজিয়ে ও বাজি ফাটিয়ে হয় সরযূ বালার শেষ যাত্রা হয়েছে। এর পর নিয়ম মেনে দাহ কার্য সম্পন্ন হয়। তবে ডিজে বক্সে হরিনামই বাজানো হয়েছে।
এ মৃতার পুত্র আনন্দ পাল বলেছেন, “দিদিমা অনেক বয়সে মারা গিয়েছেন। তাই নাতিরা এই আয়োজন করেছে। একশ বছরে কেউ মারা গেলে তাঁর জন্য শোকের পরিবর্তে আনন্দ থাকে। সেটাই দেখা গেল বলাগড়ে।”