Hooghly: নদী থেকে মিলেছিল ক্ষুদিরামের দেহ! দেড় দশক পর দোষী সাব্যস্ত ৮ CPIM কর্মী, আগামিকাল সাজা ঘোষণা
Chinsurah Court: যা চলে টানা ১৫ বছর। ১০ জন অভিযুক্তের মধ্যে মৃত্যু হয় দু'জনের। পড়ে থাকে ৮ জন। হেফাজতে নয়, জামিন পেয়েই নিশ্চিন্তে থাকে তাঁরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার সাজা ঘোষণা।

হুগলি: দেড় দশক আগের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আট বাম কর্মী। আগামিকাল সাজা ঘোষণা হবে চুঁচুড়া আদালতে। ঘটনা ২০১০ সালের। ক্ষমতা পেতে মরিয়া তৃণমূল শিবির। রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বামবিরোধী আন্দোলন। রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে। সেই সময় হুগলি জেলার গুড়াপে খুন হয়েছিলেন ক্ষুদিরাম হেমব্রম নামে এক ব্যক্তি। উচ্চ মাধ্য়মিক পরীক্ষার দিন বাবার হত্য়ার খবর পেয়েছিলেন ছেলে সুদীপ হেমব্রম। নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়েছিল ক্ষুদিরামের দেহ। অভিযোগ উঠেছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদিরাম ছিলেন তৃণমূল কর্মী। তাঁকে খুনের অভিযোগে সেই সময় মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরা প্রত্য়েকেই সিপিএম কর্মী। এরপর মাস খানেকের মধ্যে চুঁচুড়া আদালতে জমা পড়ে প্রথম চার্জশিট। জোর কদমে শুরু হয় তদন্ত। যা চলে টানা ১৫ বছর। ১০ জন অভিযুক্তের মধ্যে মৃত্যু হয় দু’জনের। পড়ে থাকে ৮ জন। হেফাজতে নয়, জামিন পেয়েই নিশ্চিন্তে থাকে তাঁরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার সাজা ঘোষণা।
এদিন নিহত ক্ষুদিরামের ছেলে সুদীপ বলেন, ‘তখন সিপিএমের সন্ত্রাস চরমে। মানুষ ভয়ে বাইরে বেরতে পারত না। আমার বাবা কেন তৃণমূল করবে, সেই নিয়েই ওদের ক্ষোভ। খুন করেছে। এমনকি, প্রমাণলোপাট করতে দেহটাকে নদীর নীচে মাটি কুপিয়ে পুঁতে দেয়। কিন্তু স্থানীয়রা সবটাই দেখে ফেলে।’ এই মামলার সরকারি আইনজীবী চন্ডী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্য়ে একজন খোদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্ত বিভাগের চিকিৎসক। তিনি নিজে সাক্ষী দিয়েছেন।’
