AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gurap: রাস্তায় ‘ব্যাটারি গ্যাং’, নিমেশেই গায়েব করে দিচ্ছে সব…

Gurap: এ প্রসঙ্গে প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, "গুড়াপ থানায় তিনটি, দাদপুর থানায় দুটি, পোলবা ধনেখালি, পান্ডুয়া, বলাগড়, হরিপাল এবং পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর মেমারী থানায় একটি করে অভিযোগ দায়ের হয়।

Gurap: রাস্তায় 'ব্যাটারি গ্যাং', নিমেশেই গায়েব করে দিচ্ছে সব...
পুলিশের হাতে গ্রেফতারImage Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Feb 19, 2025 | 1:54 PM
Share

গুড়াপ: একটি নয়। দু’টি জেলার ন’টি থানায় তেরোটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যা নিয়ে কার্যত ঘুম উড়েছিল পুলিশের। শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল ‘ব্যাটারি গ্যাং’। আর এই ব্যাটারি চোর ধরতে থানায়-থানায় গঠন করা হল বিশেষ টিম। অবশেষে এল সাফল্য। প্রায় পনেরো লাখ টাকার ব্যাটারি ও সরঞ্জাম আটক করল হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।

বুধবার গুড়াপ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলির গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি-ডিএন্ডটি প্রিয়ব্রত বক্সি। ডিএসপি জানান, গত বেশ কয়েকদিন ধরে হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি থানা এলাকায় মোবাইল ফোনের টাওয়ারের ব্যাটারি চুরির অভিযোগ আসছিল। যা নিয়ে পুলিশ রীতিমতো উদ্বিঘ্ন ছিল। এত চুরি হচ্ছে কী করে? তার কুল কিনারা করতে পারছিলেন তাঁরা। এরপর হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নির্দেশে ব্যাটারি গ্যাং ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শুরু হয় চোর খোঁজার কাজ।

এ প্রসঙ্গে প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, “গুড়াপ থানায় তিনটি, দাদপুর থানায় দুটি, পোলবা ধনেখালি, পান্ডুয়া, বলাগড়, হরিপাল এবং পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর মেমারী থানায় একটি করে অভিযোগ দায়ের হয়। প্রথমে তদন্তকারী আধিকারিকরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। কীভাবে চুরি হয়েছে, কোন রাস্তা দিয়ে হয়েছে তা দেখে চোর সনাক্ত করার চেষ্টা করে।”

তিনি এও জানান যে, কয়েকদিন আগে গুড়াপ থানার ওসি বাপি হালদারের নেতৃত্বে একটি গাড়ি ও তার ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে। সেই ড্রাইভারের সূত্র ধরে প্রচুর ব্যাটারির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে দুজন টেকনিশিয়ান জড়িত। যারা বেসরকারি সংস্থার টাওয়ার গুলিতে কাজ করত। যে পরিমাণ ব্যাটারি চুরি হয়েছিল তার বাজার মূল্য ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি।

পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গুড়াপ থানা অধিকাংশ ব্যাটারি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি তারকেশ্বরে। একজনের বাড়ি ঝাড়গ্রাম। অন্য  একজনের বাড়ি পান্ডুয়ায়। তদন্তে জানা গিয়েছে,অভিযুক্তরা তারকেশ্বর থেকে গোটা বিষয়টাকে অপারেট করত।