Hooghly: বাম-রাম-ডান সকলের কাছেই ওঁরা রাজা, তবুও জানেন কেন বাংলার এই ৪০ টি পরিবারের বুকে বিস্তর গ্লানি

Sanath Majhi | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 19, 2024 | 10:49 AM

Hooghly: এই পাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ বার বার আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার জন্য কাগজপত্র জমা নেওয়া হয় ঠিক ভোটের আগে, আর ভোট ফুরালেই চোখ রাঙানি সহ্য করতে হয় স্থানীয় নেতাদের। ভোট মিটলেই নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সাহসটুকুও পান না তাঁরা।

Hooghly: বাম-রাম-ডান সকলের কাছেই ওঁরা রাজা, তবুও জানেন কেন বাংলার এই ৪০ টি পরিবারের বুকে বিস্তর গ্লানি
হরিপালের প্রত্যন্ত গ্রাম আবাসহীন!
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি:  ‘আবাস’হীন একটা গোটা পাড়া। কেউ ত্রিপল টাঙিয়ে দিন কাটান, কারোর খড়ের চাল, কারোওবা ছিটে বেড়ার ঘর। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁদের মাথার ছাদ পাকা করার কথা সরকারেই। অন্ততপক্ষে সরকার তাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি তো দূরের কথা, তাঁদের দিকে ফিরেও তাকান না কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বই। অভিযোগ তেমনই। ক্ষোভ নেই, কারণ ওঁদের আশাও নেই। কেবল বুক ভরা গ্লানি রয়েছে হুগলির হরিপালের কৃষ্ণপুর গ্রামের বেলেরপাড় এলাকার বাসিন্দাদের।

এই পড়ায় প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশটি পরিবারের বসবাস, দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে তালপাতার ছাউনি, তো কারও টালির চাল, কারওবা খড়ের চাল, কেউ কেউ ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করছেন। কারও আবার ছিটে বেড়ার ঘর তো কারো মাটির দেওয়াল তাও আবার ভাঙা।
দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার গুলির দিকে তাকিয়ে দেখেনি কেউ, না বাম না ডান।তবে তাঁদের কাছে মজার বিষয় হল, ভোট এলেই তাঁরা হয়ে যান রাজা আর ভোট ফুরালেই হয়ে যান প্রজা।ভোটের সময় বিভিন্ন দলের নেতা নেত্রীদের পায়ের ধূলো পড়ে গ্রামে।  ভোটের পর ভুলেও নেতা নেত্রীর পা মাড়ান না এই পাড়ায়। ফলে আবার যা কে সেই অবস্থা।

এই পাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ বার বার আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার জন্য কাগজপত্র জমা নেওয়া হয় ঠিক ভোটের আগে, আর ভোট ফুরালেই চোখ রাঙানি সহ্য করতে হয় স্থানীয় নেতাদের। ভোট মিটলেই নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সাহসটুকুও পান না তাঁরা। এক প্রকার জমিদারি প্রথার মধ্যে দিন কাটে তাঁদের।

ঝড়,বৃষ্টি মাথায় করেই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন এই পাড়ার বাসিন্দারা।
প্রকৃত প্রাপক হয়েও কেন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ? তার উত্তর তাঁদের কাছে অজানা। শুধু আবাস নয় এলাকায় পানীয় জলের কল বসানো হয়েছে কিন্তু জল নেই, আবার শৌচালয় তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য টাকা মিটিয়ে দিলেও তাও মেলেনি। প্রচণ্ড শীতে চরম দুর্দশা নেমে এসেছে এই পাড়ায়।
এক প্রকার দিনের পর দিন শোষিত নিপীড়িত হচ্ছেন এই পাড়ার বাসিন্দারা।

যার যত বড় ছাদ তার লিস্টে আগে নাম এটার নাম কাটমানি কটাক্ষ বিরোধীদের।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে গ্রামের উন্নয়নের জন্য কোনো গ্রাম সভা হয় না,গ্রাম সভা হয় নেতাদের বাড়িতে ফলে যে দশ বিষ হাজার কাটমানি দিতে পারবে তাঁর নামেই বাড়ি আসছে।”

যদিও হুগলি জেলাসভাধিপতি রঞ্জন ধারা বলেন, “গরিব মানুষের মাথার উপর পাকা ছাদ থাকুক এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান। কিন্তু কেন্দ্র সকারের বঞ্চনার কারণে শুধু হরিপাল নয়, হুগলির বহু গরিব পরিবার মাথার উপর পাকা ছাদহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।”