Hooghly: সরকারি জমিতেই পাকা নির্মাণ! নালিশ পেয়ে দেখতে গিয়ে থ্ বিধায়ক
Hooghly: সেখানে গিয়ে দেখেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি জমিটি ইতিমধ্যেই পাকাপাকিভাবে দখল করে নেওয়া হয়েছে। একটি জলাশয়ের পাড় বরাবর পাকা নির্মাণ করা হয়েছে। রাবিশ ফেলে সমান করা হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে বিধায়ক ক্ষোভে উগরে দেন। বিধায়ক বলেন, “এটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।

হুগলি: সরকারি জমি দখল করে পাকা নির্মাণ চুঁচুড়ায়! পুকুর ভরাটের নালিশ পেয়ে অকুস্থলে গিয়ে রীতিমতো থ্ বিধায়ক অসিত মজুমদার। হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাপপুর এলাকায় একটি সরকারি জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাটি পরিদর্শনে যান বিধায়ক অসিত মজুমদার।
সেখানে গিয়ে দেখেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি জমিটি ইতিমধ্যেই পাকাপাকিভাবে দখল করে নেওয়া হয়েছে। একটি জলাশয়ের পাড় বরাবর পাকা নির্মাণ করা হয়েছে। রাবিশ ফেলে সমান করা হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে বিধায়ক ক্ষোভে উগরে দেন। বিধায়ক বলেন, “এটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আমি জেলাশাসক, বিএলআরও, অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি দপ্তর ও চুঁচুড়া থানার আইসির কাছে বিষয়টি লিখিত আকারে জানাব। আমি কোনোভাবেই বেআইনি দখলদারি বরদাস্ত করব না।”
তিনি আরও বলেন, “যদি এই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি বিষয়টি জেনে থাকেন এবং তবুও প্রশাসনকে না জানিয়ে থাকেন, তাহলে আমি দলীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। দল সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।”
অভিযুক্ত অচ্যুৎ সাধু বলেন, “আমি এই জমি সরকারের কাছে লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম এবং বিষয়টি পৌরসভাকেও জানিয়েছিলাম। তবে আমি জানতাম না যে সরকারি অনুমোদন ছাড়া সরকারি জমিতে কোনও নির্মাণ করা যায় না। এটা আমার ভুল হয়েছে।” দু’মাস ধরে তিনি এই কাজ করেছেন।
সরকারি জমি দিনের আলোয় দু’মাস ধরে দখল হয়ে গেল পুরসভা বা প্রশাসনের কেউ দেখল না, প্রশ্ন উঠছে। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, “বিধায়ক পুকুর ভরাট শুনে চলে গেলেন অথচ ওনার দলের কাউন্সিলর পুরসভা জানে না।সরকারি জমি দখল হয়ে গিয়েছে। আসলে এই সরকারের আমলে আইন কানুন প্রশাসন বলে কিছু নেই।”
বিধায়ক বলেন,সাধারন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।বেআইনি কিছু হলে অভিযোগ করতে হবে।।
