Hooghly: ৬৪ বছরে প্রথমবার, বামেদের উৎখাত করে উড়ল সবুজ আবির
Hooghly: ভোট শুরুর পর থেকেই বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তোলে সিপিএম। বামেদের অভিযোগ করেন, ভোটারদের বুথে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। জোর করে ছাপ্পা মারা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে নবগ্রাম নৈটি রোড অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল।

হুগলি: ৬৪ বছরে প্রথমবার ভোট। কোন্নগরের নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ লিমিটেড সমবায় নির্বাচনে ৫৬ টি আসনেই জয়লাভ করল শাসকদল তৃণমূল। ভোট লুঠের অভিযোগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শেষ হাসি হাসল তৃণমূল। রবিবার বেলা বারোটায় মোট ৫৬ টি আসনের জন্য ১৮ বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয় নবগ্রামের তিনটি স্কুলে। বাম সমর্থিত প্রার্থীরা সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে। একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি।
এদিন ভোট শুরুর পর থেকেই বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তোলে সিপিএম। বামেদের অভিযোগ করেন, ভোটারদের বুথে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। জোর করে ছাপ্পা মারা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে নবগ্রাম নৈটি রোড অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল।
এই সমবায়ে গত ৬৪ বছরে একটিও ভোট হয়নি।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জয় হয়েছিল বামেদের। অর্থাৎ ভরা সবুজের বাজারেও বামেরা এই এলাকায় নিজের আলো জ্বালিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এই সমবায়ে সেটাও কার্যত নিভে গেল। সমবায়ের এক্স চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা মানস রায় বলেন, “এটা গণতন্ত্রের জয়। ৬৪ বছরে ব্যাঙ্কে এটা প্রথম ভোট। সব ধরনের মেম্বার রেখেছিলাম। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ভোট হয়েছে। জয় আসারই ছিল। বিরোধীরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পেরেছিল, তাতেই মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।”
হুগলির এসএফআই সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, “সমস্ত স্কুলে বুথ জ্যাম, তৃণমূল কর্মীরা আক্রমণ করছে। অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে। এটা আসলে একটা প্রহসনই হল। ”





