হুগলি: নিয়োগকাণ্ডে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে। এক সময় তৃণমূলের যুবনেতা ছিলেন তিনি। তবে এখন দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। তৃণমূলে থাকাকালীন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও থেকেছেন। এবার তাঁর জায়গায় তৃণমূলের মুখ দেবীপ্রসাদ রক্ষিত। বৃহস্পতিবার শান্তনুর ছেড়ে যাওয়া দফতরের ভার নিলেন তিনি। আর দায়িত্ব নিয়েই দেবীপ্রসাদবাবু বলেন, “ঘর, চেয়ার পয়া বা অপয়া হয় না। ভুল করলে দায় কেউ নেয় না।”
গত পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে রেখেছিলেন। নিয়োগকাণ্ডে তদন্তে নেমে কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পরই ইডির জালে ধরা পড়েন শান্তনু। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এই আসনের জয়ী প্রার্থী দেবীপ্রসাদ রক্ষিত।
হুগলি জেলা পরিষদের ৫৩টি আসনের মধ্যে ৫১টি জিতেছে তৃণমূল। স্থায়ী সমিতি গঠনের পর বৃহস্পতিবার ৯ জন কর্মাধ্যক্ষ তাদের দায়িত্ব বুঝে নেন। তারকেশ্বরের ৩৬ নম্বর জেলা পরিষদের আসন থেকে জয়ী হয়ে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন দেবীপ্রসাদ রক্ষিত। ২০১৮ সালে যে আসন থেকে জিতে একই দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হয়েছিলেন হুগলি জেলার প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন শান্তনু। এদিন তাঁর ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসে নয়া কর্মাধ্যক্ষ দেবীপ্রসাদ বললেন, আসন তো কারও ব্যক্তিগত হয় না। শান্তনু বলাগড়ের ছেলে, তিনি তারকেশ্বরেরই। দেবীপ্রসাদের কথায়, “উনি জেলবন্দি, এই দায়ভার ওনার নিজের। যে ভুল করবে তার দায় তাকেই নিতে হবে।” শান্তনুর চেয়ারে বসতে অন্যরকম কোনও অনুভূতি কাজ করবে না? এমনও কেউ কেউ বলছেন, ওই চেয়ারটা খুব একটা পয়মন্ত নয়। দেবীপ্রসাদ বলছেন, বিজ্ঞানের যুগে এসব কানে তোলাই উচিত নয়।