Robbery: জীবন বাজি রেখে ২৫ কেজি সোনা সহ ডাকাত ধরেছিল স্থানীয়রা, মানপত্র তুলে দিয়ে কুর্নিশ পুলিশের
Robbery: শুক্রবার রাতে আরামবাগের এসডিপিও, আরামবাগ থানার আইসি,গোঘাট থানার ওসির উপস্থিতিতে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে খাটুল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের হাতে বিশেষ মানপত্র তুলে দেওয়া হয়।
হুগলি: সম্প্রতি ডানকুনিতে একটি নামী কোম্পানীর সোনার শো রুমে বড়সড় ডাকাতির খবর শোনা গিয়েছিল। ডাকাতদের ধরেও ফেলেছিল পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ২৫ কেজির কাছাকাছি সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছিল। গোঘাটের খাটুল এলাকাতেই তাঁদের পাকড়াও করা হয়েছিল। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল খাটুল ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁদের সেই কৃতিত্বকে সম্মান জানিয়েই এবার সম্বর্ধনা দিল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে আরামবাগের এসডিপিও, আরামবাগ থানার আইসি,গোঘাট থানার ওসির উপস্থিতিতে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাঁদের হাতে বিশেষ মানপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন এলাকার বহু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারাও। আগামীতে এলাকাকে নিরাপদে রাখতে কীভাবে পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়। পুলিশকে সাহায্যের বার্তা দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পুলিশের হাত থেকে সম্বর্ধনা পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত খাটুল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরাও।
খাটুল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সনাতন দাস বলেন, “ছিনতাইকারীদের ধরতে গিয়ে আদপে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। আমাদের ব্যবসায়ীরা, সেখানকার স্থানীয়রা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাতে আমরা খুবই কৃতজ্ঞ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে দুষ্কৃতীদের ধরতে পেরেছে তা প্রশংসনীয়। এমনকী যে সমস্ত সোনার গয়না ডাকাতি হয়ে গিয়েছি তাও আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। আমি যখন ওদের ধরি তারপরই পুলিশে খবর যায়। তবে আমরাই ওদের শুরু থেকে আটকে রেখেছিলাম। পুলিশ আসার পর পুলিশের হাতে তুলে দিই।” এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, “১৫ সেপ্টেম্বর এই বড় ডাকাতি হয়। অভিযুক্তদের ধরে খাটুল বাজার সমিতির লোকেরা। তারা যে সাহসিকতার পরিচয় দেন তাতে আমরা আপ্লুত। তাদের তৎপরতাই তাঁদের শেষ পর্যন্ত ধরা সম্ভব হয়। চুরি যাওয়া সমস্ত গয়নাও উদ্ধার হয়।”