Mountaineer Piyali Basak: টানা ২২ ঘণ্টা ধরে ‘বরফের কামড়’ সহন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পিয়ালি বসাক
Piyali Basak: গত ১৫ মে পৃথিবীর পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ(৮,৪৮৫ মিটার) মাকালু আহরণ করেন পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক। বেস ক্যাম্পে ফেরার পথে তাঁর চোখে সমস্যা হচ্ছিল। তাই দলের সঙ্গে নিচে নামতে পারেননি।
হুগলি: তিনি সাক্ষাৎ পাহাড় কন্যা ((Everest victory)। পাহাড়ই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। বাড়িতে অসুস্থ বাবা। মন তাঁর পাহাড়েই। সেই স্বপ্নেই ভর করে একের পর এক শৃঙ্গ জয় বাংলার মেয়ে পিয়ালি বসাকের (Piyali Basak)। তবে বর্তমানে অসুস্থ পিয়ালি। নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্ত হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। পায়ের দু’টো বুড়ো আঙুলে ফ্রস্ট বাইট (বরফের কামড়) হয়েছে।
গত ১৫ মে পৃথিবীর পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ(৮,৪৮৫ মিটার) মাকালু আহরণ করেন পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক। বেস ক্যাম্পে ফেরার পথে তাঁর চোখে সমস্যা হচ্ছিল। তাই দলের সঙ্গে নিচে নামতে পারেননি। অভিযাত্রী থেকে দলের সদস্য এমনকী শেরপারাও তাঁকে ছেড়ে ক্যাম্প থ্রিতে নেমে আসেন। ৭ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় টানা বাইশ ঘণ্টা আইস ওয়ালে দু’পা চেপে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকেন পিয়ালি। পরে তিনজন শেরপা গিয়ে তাঁকে বেস ক্যাম্পে নামিয়ে আনেন। সেখান থেকে কাঠমান্ডুতে।
মঙ্গলবার পিয়ালির বোন তমালি জানান যে, দিদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। পায়ের দু’টো বুড়ো আঙুলে ফ্রস্ট বাইট হয়েছে। পিয়ালি তাঁর বোন তমালিকে জানিয়েছেন যে, তিনি বেঁচে থাকবে তা শেরপারাও ভাবতে পারেনি। যেখানে ঘুমিয়ে পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু সেখানে টানা ২২ ঘণ্টা স্রেফ দাঁড়িয়ে থেকেছেন। তবে বেস ক্যাম্পে ফিরে স্বাভাবিক কথা বলেছেন।
মা স্বপ্না বসাককে পিয়ালি জানিয়েছিলেন তাঁর শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক ছিল। তমালী জানান, পিয়ালি তাঁকে জানিয়েছেন অসুস্থতার কথা। আগে যখন কথা হয়েছিল বলেছিল, খুব হাওয়া চলছিল মাকালুতে। চোখে যন্ত্রণা হচ্ছিল। যে শেরপারা উদ্ধার করেছে তাঁরাই বলেছেন ‘মিরাকল হয়েছে‘। গতকাল কথা বলার সময় গলার আওয়াজ শুনে মনে হল এমনি ঠিক আছে।আগের থেকে অনেকটা পরিষ্কার কথা বলেছে। তবে বেশি কথা বলা যায়নি। সুস্থ না হলে নিয়ে আসাও যাচ্ছে না।
চিকিৎসকরা বলেছে কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিতে। সুস্থ হলে চন্দননগর (ChandanNagar) ফিরবেন। মাকালু অভিযানে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছেন এখনও ২৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে এজেন্সিকে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে তাঁর পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন পর্বত পিয়ালি।