Hooghly: সিপি বলছেন নাইট কারফিউ,মন্ত্রী বলছেন ‘না’! জগদ্ধাত্রী পুজোয় রাতের বিধি-নিষেধ নিয়ে দোলাচলে খোদ প্রশাসন
Jagdhatri Puja 2021: গতকাল, চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ।
হুগলি: দুর্গাপুজোয় ভিড় দেখেছে কলকাতা সহ সারা রাজ্য। আর তার পরিণতি, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জোর দেওয়া হয়েছে নাইট কারফিউর উপরে। দুর্গাপুজোর কয়েকটা দিন নাইট কারফিউ জারি ছিল না রাজ্যে। কালীপুজোর সময়ও থাকবে না জানা যাচ্ছে। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে হুগলিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় থাকবে নাইট কারফিউ এমনটাই খবর।
হুগলির চন্দ্ননগর একাধিক জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সুনাম রয়েছে। চারদিন ধরে চলে পুজো সেখানে। জেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও ভিড় হয় প্রচুর মানুষের সেখানে। আলোর রোশনাই, মণ্ডপ এবং প্রতিমা দেখলে বোঝা দায় যে দুর্গাপুজো চলছে নাকি জগদ্ধাত্রী পুজো। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন প্রশাসনিক কর্তারা।
গতকাল, চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ। তিনি বলেন, “জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলিতে রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকবে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী।রাত এগারোটা বেজে গেলে তারপরে আর কোনও পাবলিক মুভমেন্ট হবে না। ১০ টা ৫৯ পর্যন্ত পুলিশ সহায়তা করবে ১১ টার পর সরকারি নির্দেশ পালন করবে।”
সিপির এই বক্তব্যের পরেই হলে উপস্থিত পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়।করোনা বিধি মেনে পুজো করতে বলছে প্রশাসন।শোভাযাত্রা হবে না আবার রাত এগারোটার পর কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না এটা কি করে সম্ভব? পুজো উদ্যোক্তাদের মনের কথা বুঝতে পেরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। মন্ত্রী বলেন, ” নাইট কারফিউ এর কথা বলা হচ্ছে আমি আশা করছি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে দু’দিনের মধ্যে। আমি নিজে কোনও পুজো মণ্ডপের সঙ্গে যুক্ত নই। কিন্তু আমি প্রচুর প্যাণ্ডল ঘুরে দেখি। তাই আমি বুঝতে পারি এই পুজোর সঙ্গে জড়িত মানুষদের আবেগ কতখানি।”
পাশাপাশি মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রতি বছর পুজোর সময় চন্দননগরবাসী কিছু সমস্যার মুখোমুখি হন। আমি বলতে পারি এই বছর পুজোয় সেই সমস্যার সামাধান হতে পারে। বিগত ২০০ বছরে যা সম্ভব হয়নি। এই বছর তা সম্ভব হবে। এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরবাসীর জন্য থাকছে নতুন কিছু চমক। ” একই সঙ্গে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও দুর্গাপুজোর মত সরকারি অনুদান দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee: ‘রাগ করিস না ভাই শুভেন্দু,’ বিরোধী নেতার কাছে আচমকা ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ কল্যাণ!