AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Polba: ‘পুলিশ আড়াল করার চেষ্টা করছে’, পোলবায় বৃদ্ধা খুনে লকেটের থানা ঘেরাও

Polba: লকেটের বিস্ফোরক অভিযোগ, "আমরা খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাই, সঙ্গে মৃতার পুত্রবধূও ছিলেন। থানায় গিয়ে জানতে পারে, মৃতার স্বামীকেও তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। চাপ দিয়ে ভুল বয়ান টিপ সই দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।"

Polba: 'পুলিশ আড়াল করার চেষ্টা করছে',  পোলবায় বৃদ্ধা খুনে লকেটের থানা ঘেরাও
পোলবায় লকেট চট্টোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2024 | 1:18 PM
Share

হুগলি:  পোলবার সুগন্ধার প্রৌঢ়া খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে পোলবা থানায় বিক্ষোভ দেখালেন হুগলির সাংসদ কথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় । লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে জড়ো হন। রাজহাট মহানাদ রোড অবরোধ করেন। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

সুগন্ধার দিল্লি রোডের পাশে একটি ইট ভাটা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রৌঢ়ার গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। জ্যোৎস্না জানা নামে ওই মহিলার ছেলে এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। মহিলা ইট ভাটাতেই থাকতেন। ছাগল চড়াতে যান বন্ধ রুইয়া কেমিক্যাল কারখানা চত্বরে। পরিবারের  সদস্যরা জানাচ্ছেন, বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্তও তাঁকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সন্ধ্যার পর ইট ভাটাতেই গলা কাটা অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, ঘটনায় ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হচ্ছে।

ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জ্যোৎস্না জানার দু’টুকরো দেহ পাওয়া গিয়েছে। তার মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে। তার স্বামীর খুব অসুস্থ। পুলিশ যখন দেহটা উদ্ধার করে নিয়ে যায়, সে সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রশান্ত গোল। তিনি তৃণমূলের মৎস্যমন্ত্রীর দফতরের কোষাধ্যক্ষ। সে সময়ে সেখানে গিয়ে অশান্তি পাকান, যাতে পুলিশ দ্রুত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”

লকেটের বিস্ফোরক অভিযোগ, “আমরা খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাই, সঙ্গে মৃতার পুত্রবধূও ছিলেন। থানায় গিয়ে জানতে পারে, মৃতার স্বামীকেও তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। চাপ দিয়ে ভুল বয়ান টিপ সই দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছিল, বয়ান অন্য কেউ লেখে। আসলে দোষীদের দোষ চাপার চেষ্টা চলে। আমরা নতুন করে বয়ান লিখি। ওখানে দুজন ছিল, যারা এখন পলাতক। মনে করা হচ্ছে, ওই দুজনই কিছু করছিল, সেটা দেখে ফেলাতেই গলা কেটে খুন করা হয়েছে।”