Hooghly: ৪ দশক আগে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে টানাটানি, জাল আধার কার্ডে কোটি টাকার জমি বিক্রি করতে গিয়ে হাজতে আব্বাস

Sanath Majhi | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 21, 2025 | 4:01 PM

Hooghly: পুলিশ বলছে, আধার জাল করেই অন্যের জমি বিক্রির ফন্দি এঁটেছিল ওই ব্যক্তি। গ্রেফতাররে পরেই আব্বাস আলিকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

Hooghly: ৪ দশক আগে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে টানাটানি, জাল আধার কার্ডে কোটি টাকার জমি বিক্রি করতে গিয়ে হাজতে আব্বাস
খবর সামনে আসতেই এলাকায় শোরগোল
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

দাদপুর: জাল আধার কার্ড বানিয়ে চল্লিশ বছর আগে মৃতের নামে থাকা জমি বিক্রির ফন্দি। কিন্তু, কাজে লাগল না প্ল্যান। পুলিশ ধরল এক অভিযুক্তকে। কোথা থেকে ওই জাল আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা হুগলির দাদপুর থানার মহেশ্বরপুরের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পোলবার কোটালপুরের বাসিন্দা আব্বাস আলি নায়েক গোলাম মোর্তাজা সেজে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ২১ শতক জমি বিক্রির জন্য চেষ্টা করেন। ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। 

এদিকে যার নামে জমি বিক্রির চেষ্টা হয়েছে সেই গোলাম মোর্তাজার ছেলে রফিকুল ইসলাম জানাচ্ছেন, তাঁর বাবা প্রায় চল্লিশ বছর আগে মারা গিয়েছেন। মহেশ্বরপুরে হাইরোডের পাশে দু’টি দাগ নম্বরে ২১ শতক জমি রয়েছে বাবার নামে। সেই জমি বিক্রির জন্য ক্রেতা নিয়ে আসে এক ব্যাক্তি। জমিতে লোকজন রয়েছে দেখে তাদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন। তখনই জানা যায় জমি বিক্রি হবে শুনে দেখতে এসেছেন তিনি। রফিকুলদের বাড়িতে খবর যেতেই ঘটনা শুনে কার্যত চোখ কপালে উঠে যায় তাঁদের। 

রফিকুল বলছেন, “আমরা অবাক হয়ে যাই ঘটনা শুনে। আমাদের জমি অথচ আমরাই জানি না কে বিক্রি করবে! তারপর আব্বাস আলিকে ধরতে তাঁর কাছ থেকে একটি আধার কার্ড পাওয়া যায়। যেটা দেখে আরও অবাক হই। দেখা যায় ওর কাছে আমার বাবার নামে আধার কার্ড রয়েছে। কিন্তু, সেখানে ছবি আব্বাস আলির। বাবা তো মারা গিয়েছেন প্রায় চল্লিশ বছর আগে। অভিযুক্তকে ধরে দাদপুর থানায় দিয়ে আসি।” 

পুলিশ বলছে, আধার জাল করেই অন্যের জমি বিক্রির ফন্দি এঁটেছিল ওই ব্যক্তি। গ্রেফতাররে পরেই আব্বাস আলিকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক সন্দেহ, এইভাবে জাল কাগজ দেখিয়ে প্রথমে ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করত প্রতারক। তারপর জমি দেখিয়ে অগ্রিম নিয়ে কেটে পড়ত।  

Next Article