TMC Group Clash: মাদার VS যুব! ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা, বাঁশ ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে

TMC Group Clash: পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গভীর রাতে তাঁদের আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। যদিও, দু'পক্ষই একে অপরের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

TMC Group Clash: মাদার VS যুব! ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা, বাঁশ ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে
আরামবাগে গণ্ডগোল (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2023 | 12:20 PM

আরামবাগ: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত হুগলির আরামবাগের (Arambag) পুরো এলাকা। ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বাস ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় আদি ও নব্য তৃণমূল। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকালের পর থেকে আরামবাগের আড়ান্ডি ২ নং অঞ্চলের পুরো এলাকায় দফায়-দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের যুব ও মাদার গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা। ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে তিনজনকে প্রথমে পুরো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গভীর রাতে তাঁদের আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। যদিও, দু’পক্ষই একে অপরের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বস্তুত, গোষ্ঠী কোন্দল রুখতে বারংবার কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নব জোয়ার কর্মসূচিতে গিয়েও কর্মীদের একাংশকে গণ্ডগোল করার অভিযোগে ধমক দেন তিনি। বারংবার দলের উচ্চ-নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছেন একসঙ্গে মিলে কাজ করার। কিন্তু তারপরও যে কথা কানে তুলছেন না অনেকেই তা আরামবাগের এই ঘটনায় কার্যত স্পষ্ট।

শুক্রবারের এই দ্বন্দ্ব ছিল মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের মাদার গোষ্ঠীর সদস্যদের অভিযোগ, পুরো এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন যুব গোষ্ঠীর লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। বাঁশ, কুড়ুল সহ ধারাল অস্ত্র দিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মাদার গোষ্ঠীর দাবি, মিছিলটি ডেকেছিল যুব তৃণমূল। সেই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য বাসে লোক ভর্তি করতে পারেননি তাঁরা। সেই কারণেই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এ দিকে, যুব তৃণমূলের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট মিছিলটিতে যাতে তাঁরা যোগ দিতে না পারেন সেই কারণেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী বাস ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে পরে আরামবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মাদার তৃণমূলের সদস্য শেখ ইবরাহিম আলি বলেন, ” অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে মিটিং ছিল। সেই সময় যুব তৃণমূলের কর্মীরা তাণ্ডব করে। আসলে ওরা যুব নয়। ওরা একসময় বিজেপি ছিল। একুশেও ওরা বিজেপিতে ছিল। পরে তৃণমূলে আসে। ওরা এসে মাদার তৃণমূলকে মারছে।” অপরদিকে, আরামবাগ যুব তৃণমূলের সভাপতি পলাশ রায় গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

এমনিতেই আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা বিজেপির দখলে।সেই জায়গায় শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূলের।