AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শুভেন্দুর হাত ধরলেন আরও এক নেতা, ‘গদ্দার-মুক্ত’র আনন্দে মিষ্টিমুখ তৃণমূলের

শনিবার বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্র, তাঁর যোগদানের খবর ছড়াতেই বাজি ফাটিয়ে, আবির খেলে উৎসবে মাতল ডানকুনি তৃণমূল নেতৃত্ব।

শুভেন্দুর হাত ধরলেন আরও এক নেতা, 'গদ্দার-মুক্ত'র আনন্দে মিষ্টিমুখ তৃণমূলের
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Feb 27, 2021 | 11:35 PM
Share

হুগলি: দিন কয়েক আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছিলেন ডানকুনি (Dankuni)’র তৃণমূল নেতা তথা বিদায়ী কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্র (Krishnendu Mitra)। ঘোষণা করেছিলেন দলে ‘অপমানিত’ হওয়ায় গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাবেন তিনি। এরপর বিজেপির সভাস্থলে দলবল দিনে পৌঁছেও গিয়েছিলেন ডানকুনির বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। তবে সে যাত্রায় তাঁকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে দলে ফেরত আনে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু পদ্মের অমোঘ টানে এদিন ফের শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় পৌঁছে যান কৃষ্ণেন্দু। তাঁদের হাত থেকে তুলে নেন পদ্ম আঁকা পতাকা। আর এ খবর জেনে ক্ষোভপ্রকাশ তো দূর অস্ত, আবির খেলে মিষ্টিমুখ করে রীতিমতো প্রাক-হোলিতে মাতলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জানালেন, গদ্দার-মুক্ত হল তৃণমূল।

শনিবার বিকেলে পদ্ম পতাকা তুলে নেন তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্র। এই যোগদানের খবর ছড়াতেই বাজি ফাটিয়ে, আবির খেলে এবং মিষ্টি বিতরণ করে উৎসবে মাতল ডানকুনি শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব। উচ্ছ্বাসে মাততে মাততে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানালেন, গদ্দার মুক্ত হল দল। তাই একটু আনন্দ করছেন তাঁরা। ডানকুনির তৃণমূল যুব সভাপতি শম্ভু সাউ-এর নেতৃত্বে মিছিলে পা মেলান কয়েকশো কর্মী। পথচলতি মানুষকেও মিষ্টিমুখ করান তাঁরা।

বেশ কিছুদিন আগে ডানকুনি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মুখোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারপর কৃষ্ণেন্দু মিত্রর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। গত জানুয়ারিতেই ডানকুনিতে বিজেপি যোগদান মঞ্চে কৃষ্ণেন্দু গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন এই খবর পেয়ে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খন্দকার। বিজেপির সভায় যাওয়ার আগেই নাকি কৃষ্ণেন্দুবাবুকে ফোন করেন তিনি। সংগঠনের কাজে কৃষ্ণেন্দু মিত্রের গুরুত্বের কথা তাঁকে মনে করিয়ে দেন স্বাতী খন্দকার। বিজেপিতে যোগ দিতেও তাঁকে বারণ করেন বিধায়ক। ফোনে বিধায়কের কথা শুনেই নাকি আবেগে কেঁদে ফেলেন কাউন্সিলর। তারপর কৃষ্ণেন্দুবাবু গেরুয়া মঞ্চে গিয়েও বিজেপিতে যোগ না দিয়েই ফিরে আসেন। তবে বিজেপির একটি সূত্রে জানায়, যোগদানের মঞ্চে বক্তব্য রাখার দাবি জানিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু। কিন্তু তা না হওয়াতেই বেঁকে বসেন তিনি।

আরও পড়ুন: অধীর অনড় আসন নিয়ে, ব্রিগেডের পরও আলোচনা চলবে তিন শিবিরের

তবে এদিন তিনি হাসিখুশি ভাবেই বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আর তাঁর দলত্যাগের শোকে কাতর নয় তৃণমূলও। সেটা বোঝাতেই প্রাক-হোলিতে মাতলেন তাঁরা।

বঙ্গযুদ্ধ ২০২১: সব খবর পড়ুন এখানে