AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Singur: চোখে সর্ষে ফুল দেখছে সিঙ্গুর! শিল্পের আশা বুকে নিয়েও বাণিজ্য সম্মেলনের আবহে কটাক্ষের বন্যা

Singur: বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এদিন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছেন দু’দিনের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ৪০টি দেশের ২০০ জন প্রতিনিধি-সহ ৫,০০০ বিশিষ্ট জন অংশ গ্রহণ করছেন এই সম্মেলনে। কিন্তু কতটা আশার আলো দেখছে সিঙ্গুর?

Singur: চোখে সর্ষে ফুল দেখছে সিঙ্গুর! শিল্পের আশা বুকে নিয়েও বাণিজ্য সম্মেলনের আবহে কটাক্ষের বন্যা
কেমন আছে সিঙ্গুর? Image Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2025 | 3:59 PM
Share

সিঙ্গুর: ভেড়ির পাড়ে চাষ হচ্ছে সর্ষে, চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন সিঙ্গুরের মানুষ! বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আবহে কটাক্ষ এলাকার চাষী থেকে সাধারণ মানুষের। এক সময় এখানেই সর্ষে ছড়িয়ে চাষীদের উৎসাহ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বঙ্গে পালাবদলের আগে হোক বা পরে, ‘সিঙ্গুর’ নামেই বরবারই বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় লেগেছে দোলা। এরইমধ্যে ফের আরও এক বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসেছে কলকাতায়। বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এদিন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছেন দু’দিনের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ৪০টি দেশের ২০০ জন প্রতিনিধি-সহ ৫,০০০ বিশিষ্ট জন অংশ গ্রহণ করছেন এই সম্মেলনে। কিন্তু কতটা আশার আলো দেখছে সিঙ্গুর? 

প্রসঙ্গত, একসময় সিঙ্গুরেই কারখানা তৈরি করতে চেয়েছিল টাটারা। যদিও জমি আন্দোলনের আবহে শেষ পর্যন্ত তাঁদের সিঙ্গুর ছাড়তে হয়। পরবর্তীতে চাষে উৎসাহ দিতে ২০১৬ সলের ২০ অক্টোবর সিঙ্গুরের জমিতে সর্ষে ছড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্ষে হচ্ছে তবে ভেড়ির পারে। যদিও সময় যত গড়িয়েছে ততই সিঙ্গুরে কারখানা তৈরির দাবি জোরাল হয়েছে। আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গিয়েছে কৃষকদের মধ্যে। এখন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে চাষীদের একাংশের দাবি, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যতই ঘটা করে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করা হোক সিঙ্গুরে শিল্প না হলে কোন শিল্পপতিই শিল্প প্রতিষ্ঠিত করতে আগ্রহী হবে না এই বাংলায়। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টাটাদের কারখানা না হওয়া নিয়েও। 

ক্ষোভের সুরেই অনেকে বলছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য যাঁরা ৯০ শতাংশ তৈরি কারখানা ডিনামাইট চার্জ করে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়, তাঁদের ডাকে কোনও শিল্পপতিই সারা দেবে না। শুধু ঘটা করে সন্মেলেই হবে। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে জমি ফেরত পেলেও এখনও সেই জমির বড় অংশই চাষযোগ্য হয়নি বলে দাবি সিঙ্গুরের বড় অংশের কৃষকদের। তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, সিঙ্গুরে শিল্প হলে তা আদতে গোটা রাজ্যের জন্যই মঙ্গল হবে।