হাওড়া: আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠতেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে আলাদা নজরদারি শুরু। নড়েচড়ে বসল হাওড়া জেলা প্রশাসন। হাওড়া জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। শনিবার বিকালে হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা হাসপাতালে যান। সুপারিনটেনডেন্ট নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে গোটা হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
হাসপাতালের প্রবেশ ও বেরোনোর গেট, এমার্জেন্সি গেট এবং মর্গের সামনের নিরাপত্তা পুলিশ আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মোট ২৫ জন নিরাপত্তা কর্মী আছেন। তারা তিন শিফটে কাজ করেন। যদিও এই বিশাল হাসপাতালের তুলনায় এখানে যে সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী, তা নিতান্তই কম।
এবার থেকে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে হাসপাতালের ভিতরে পাকাপাকিভাবে পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও পুলিশ পেট্রলিং এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কর্মীদের নজরদারি বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলা হাসপাতালে ৪২টি সিসিটিভি রয়েছে। প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।
আরজি করে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। এমনও নাকি বলেছেন, ফাঁসি দেওয়া হোক তাঁকে।