ডোমজুড়: ছাত্র সংঘর্ষের জেরে একেবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজ। গভর্নিং বডির সভাপতির অপসারণের দাবি। দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণের দাবি একাংশের ছাত্রদের। তা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে খবর। দু-পক্ষের ছাত্রদের হাতাহাতিতে মাথা ফেটে যায় এক ছাত্রীর। আরও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তুফান ঘোষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়ারা। কলেজের নানা জায়গায় পড়ে পোস্টার। এই তুফান আবার মাকড়দহ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলে জানা যাচ্ছে। গৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক সীতানাথ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন আজাদ হিন্দ কলেজের ১২ সদস্যের পরিচালন সমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠককে কেন্দ্র করে দফায় দফায় ছড়ায় উত্তেজনা। টিএমসিপির একাংশের দাবি, তাঁরা কোনওভাবেই নতুন সভাপতিকে মেনে নেবেন না। তাঁকে অপসারণের দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনেও পোস্টার নিয়ে চলে বিক্ষোভ। কত টাকার বিনিময়ে স্থানীয় বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ তুফানকে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি করেছেন? পোস্টারে এই প্রশ্নও তোলা হয়। দুর্নীতি নিয়েও করা হয় একগুচ্ছ অভিযোগ।
বিকাল চারটে নাগাদ কিছু ছাত্র নিয়ে তুফান কলেজে ঢোকার চেষ্টা করলে নতুন করে উত্তেজনা ছাড়ায়। দু’দল ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। একদল ছাত্র টেবিল,চেয়ারের পাশাপাশি গোটা কলেজে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডোমজুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁদের সামনেও চলে বিক্ষোভ, ভাঙচুর। শেষে কলেজ ছাড়তে বাধ্য হন তুফান। একদল ছাত্র তাঁকে তাড়া তিনি মাঠের দিকে দৌড় লাগান। ঘটনা প্রসঙ্গে জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ বলছেন, “আমি কী অথোরিটি নাকি? আমি কী বলব? আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)