কলকাতা: ‘সুদীপ্ত-স্বপন-সইফুদ্দিন উই শ্যাল ফাইট উই শ্যাল উইন’, নবান্ন অভিযান হোক বা অন্য কোনও আন্দোলন, আজও SFI-DYFI এর কর্মীদের মুখে ঘোরে এই স্লোগান। ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর। আন্দুলের প্রভু জগদ্বন্ধু কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এসএফআই ও টিএমসিপি-র মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। তাতেই গুরুতর জখম হন ছাত্র নেতা তথা এসএফআই কর্মী স্বপন কোলে। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরের দিনই মৃত্যু হয় তাঁর। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। এক বছরের মধ্যে রাজ্যে হয়ে গিয়েছিল পালা বদল। তারপর কেটে গিয়েছে চোদ্দোটা বছর। ৮ অগস্ট, ২০২৪। বুদ্ধদেব ভট্টার্যের মৃত্যুর খবরটা আন্দুলের আড়গোড়ির কোলে বাড়িতে পৌঁছাতেই সাতসকালেই নামল শোকের ছায়া।
স্বপন কোলের মৃত্যুর পর তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব। দিনটা ছিল ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবারের। চাকরি দিয়েছিলেন স্বপনের বড় দাদা তাপস কোলকে। আজ বুদ্ধদেবের মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কোলে পরিবার।
শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন স্বপনের মা। বলছেন, “খবরটা শুনেই ভীষন কষ্ট লাগছে। ছোট ছেলের মৃত্যুর পর বুদ্ধবাবু আমাদের মতো গরিব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বিধানসভায় তাপসকে চাকরিও দিয়েছিলেন। দোষীদের শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছিলেন।” শোকস্তব্ধ তাপসও। বারবার স্মৃতির পাতায় ফিরে যাচ্ছেন তিনিও। চোখে জল নিয়েই বলছেন, “বুদ্ধবাবু না থাকলে সেই সময় আমাদের পরিবার ভেসে যেত। তাঁর মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”