AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Death By Electrocution: মর্মান্তিক! বাবা মাটিতে পড়ে আছে দেখেই ছুটে যান ছেলে, রেহাই পেলেন না তিনিও…

Death By Electrocution: বাড়িরই একতলায় রয়েছে একটি কারখানা। এ দিন সকালে সেই কারখানাতেই কাজ করতে গিয়েছিলেন শৈলেন বাবু।

Death By Electrocution: মর্মান্তিক! বাবা মাটিতে পড়ে আছে দেখেই ছুটে যান ছেলে, রেহাই পেলেন না তিনিও...
হাওড়ায় বাবা-ছেলের মৃত্যু
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 3:09 PM
Share

হাওড়া : সাবধানতা যতই অবলম্বন করা হোক না কেন, বারবার অসাবধানতার বলি হন কেউ না কেউ। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ায় একটি কারখানায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন একই পরিবারের ৪ সদস্য। তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জগাছা থানা এলাকার ইছাপুর পূর্বপাড়ায়।

একটি বাড়ির একতলায় কারখানায় কাজ করতে গিয়ে প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহকর্তা শৈলেন হাজরা (৫৭)। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁর বড় ছেলে স্বপ্ননীল হাজরা (২১)। তাঁদের দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। আর স্বামী ও বড় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্ত্রী। মা কে বাঁচাতে গিয়ে আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহকর্তার মেয়ে। তবে মা ও মেয়ে কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। শৈলেনবাবু ও স্বপ্ননীলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন্যান্য দিনের মতোই মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ির কর্তা শৈলেনবাবু একতলায় নেমে কাঁচা লোহায় হিট ট্রিটমেন্টের কাজের জন্য মেশিন চালু করতে যান। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মেশিনটি আগে থেকেই শর্ট সার্কিট হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তা বুঝতে না পেরেই তাতে হাত দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন শৈলেনবাবু। ১০ মিনিট বাদে শৈলেনবাবুর বড় ছেলে স্বপ্ননীল নীচে নেমে এসে দেখেন বাবা মেঝেতে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন। বাবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন বুঝতে পেরে একটি লোহার রড দিয়ে বাবাকে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনিও।

আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন স্বপ্ননীলের মা। ছুটে এসে তিনিও তাঁর স্বামী ও বড় ছেলের গায়ে হাত দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। মা, বাবা ও দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মেয়েও। অবশেষে শৈলেনবাবুর ছোট ছেলে ইন্দ্রনীল হাজরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মেন সুইচ অফ করে দেন। বাবা, দাদা, মা ও দিদির কাছে ছুটে যান তিনি।

কিছুক্ষণ পর শৈলেনবাবুর স্ত্রী ও মেয়ের জ্ঞান ফিরলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু অচৈতন্য অবস্থায় শৈলেনবাবু ও স্বপ্ননীলকে প্রথমে স্থানীয় দু’টি নার্সিংহোম ও পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই শৈলেনবাবুরা দোতলা বাড়ির একতলায় লোহার কাঁচামালকে হট ট্রিটমেন্ট করার কাজ করেন। এটা তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা। ইলেকট্রিক ফার্নেসের মেশিনে সুইচ অফ করতে ভুলে যাওয়াতেই হয়তে এমন শর্ট সার্কিট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান স্থানীয়দের। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে জগাছা থানা।