AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP Joining: জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করেও ঘর পেতে কাটমানি! সঙ্গীদের নিয়ে দল ছাড়লেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ

বুধবার ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে টুকলিমারি এলাকায় জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের হাত থেকে বিজেপি-র দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগদান করেন ১৩টি পরিবারের প্রায় ৫৩ জন কর্মী। যার মধ্যে রয়েছে ৮৫ বছরের জিতেন রায়।

BJP Joining: জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করেও ঘর পেতে কাটমানি! সঙ্গীদের নিয়ে দল ছাড়লেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ
বিজেপিতে যোগ তৃণমূলকর্মীদের
| Edited By: | Updated on: May 10, 2023 | 7:13 PM
Share

ধূপগুড়ি: বয়স হয়েছে ৮৫ বছর। কিন্তু এই বয়সেও রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় তিনি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে রয়েছেন সঙ্গে। গত ২৫ বছর ধরে তৃণমূলের জোড়ফুল ঝান্ডা বয়ে বেরিয়েছেন। কিন্তু তা করেও জোটেনি সরকারি ঘর। উল্টে সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য আড়াই হাজার টাকা কাটমানি দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ক্ষোভে এবার দল ত্যাগ করলেন ৮৫ বছরের ওই বৃদ্ধ। জন্মলগ্ন থেকে থাকার পর তৃণমূল ছেড়ে দিলেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের টুকলিমারি এলাকায়। ৮৫ বছরের ওই বৃদ্ধের নাম জিতেন রায়। তিনি বুধবার তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল ছাড়লেন ওই গ্রামের ১৩টি পরিবারের প্রায় ৫৩ জন তৃণমূল কর্মী। জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের হাত ধরে জিতেন-সহ বাকিরা যোগ দিলেন পদ্মশিবিরে।

বুধবার ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে টুকলিমারি এলাকায় জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের হাত থেকে বিজেপি-র দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগদান করেন ১৩টি পরিবারের প্রায় ৫৩ জন কর্মী। যার মধ্যে রয়েছে ৮৫ বছরের জিতেন রায়। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী হয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল ছেড়ে আসা কর্মী ও নেতাদের। তাই বাধ্য হয়ে এদিন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন তাঁরা।

বিজেপিতে যোগদানের কারণে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল যে দুর্বল হয়ে পড়ল বলে দাবি করলেন সাংসদ জয়ন্ত রায়। জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেছেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস আর ধরে রাখতে পারবে না। প্রতিদিনই অনেক মানুষ বিজেপিতে যোগদান করছেন। তাই পঞ্চায়েত ভোটে যে বিজেপি ভালো ফল করবে এই দুশ্চিন্তাতে নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করছেন না রাজ্য সরকার।”

৮৫ বছরের জিতেন রায় বলেছেন, “আমি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলটার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। গরিব হওয়া সত্ত্বেও সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইনি। একবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের তালিকায় নাম এসেছিল তার জন্য আড়াই হাজার টাকা কাটমাটি নিয়েছিল। কিন্তু পরে ঘরটাও দেয়নি। তাই আজ বিজেপিতে যোগদান করলাম।”

তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেস কুমার সিং বলেন, “আমাদের দল থেকে কেউ বিজেপিতে যাচ্ছে না। এগুলো সব লোক দেখানো। আর যদি কেউ কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করে থাকে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”