‘মহিলা হয়ে ডিউটি! তোমায় দেখে নেব’, সরকারি আধিকারিককে ‘হেনস্থা’,অভিযুক্ত তৃণমূল
Harassment: তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী বলেন, "এই ধরনের কোনো ঘটনার কথা জানি না।"
জলপাইগুড়ি: সম্প্রতি ভুয়ো অফিসারকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। কিছুদিন আগে ধূপগুড়িতেই এক ভুয়ো মানবাধিকার কমিশনের অধিকর্তা ধরা পড়েন। তারপর থেকেই বেশ খানিকটা যাচাই করে নেওয়ার মনোভাব জোরালো হয়েছে জেলাজুড়ে এমনটাই মত স্থানীয়দের। এ বার সেই সন্দেহের শিকার হলেন এক মহিলা সরকারি আধিকারিক (Excise Department)। তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
সুমনা দে নামে আবগারি শুল্ক আধিকারিকের অভিযোগ, বুধবার বিকেল থেকে অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ময়নাগুড়ি রোড এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। রাতের দিকে, সুমনা টিম কে অন্যত্র পাঠিয়ে একাই ওই এলাকায় ছিলেন নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালক। সেইসময় কয়েকজন যুবক এসে তাঁকে ঘিরে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁর পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় বলে অভিযোগ। সুমনার গাড়ির চালককেও একটি দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর ও দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এরপর আবগারি দপ্তরের অন্যান্য কর্মীরা ময়নাগুড়ি থানায় খবর দেওয়ায় পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে পার্টি অফিসে ওই আধিকারিকের চালককে আটকে রাখা হয়েছিল তা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় এবং ওই কার্যালয়ের কর্মীরাই মারধর হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।
সুমনার কথায়, “আমি ডিউটি দিচ্ছিলাম। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আমার টিমের অন্য সহকর্মীরা সঙ্গে ছিল। কিন্তু, তারপর তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমি একা ডিউটি দিচ্ছি দেখেই প্রায় দশ বারোজন আমায় ঘিরে ধরে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে। বারবার হুমকি দেওয়া হয়, ‘মহিলা হয়ে রাতে ডিউটি দিচ্ছ, তোমায় দেখে নেব।’ পরে, ওরা ঘিরে ধরে দলীয় কার্যালয় নিয়ে গিয়ে মারধর করে আমার ড্রাইভারকে। আমার আধিকারিকদের খবর দিতে তারাই থানায় খবর দেয় ও আমাদের উদ্ধার করে।”
নিগৃহীতা ওই আবগারি আধিকারিক জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় আটজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন অভিযুক্ত সকলেই তৃণমূলের কর্মী। যদিও, তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী বলেন, “এই ধরনের কোনো ঘটনার কথা জানি না। তবে এর সঙ্গে যদি তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকে তবে প্রশাসন যেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় তা দেখা হবে।” আরও পড়ুন: রেশন কার্ডের দৌলতে বেঁচে উঠছেন মৃত মা, আধার লিঙ্ক করাতেই চক্ষু চড়কগাছ ছেলের!