AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রেশন কার্ডের দৌলতে বেঁচে উঠছেন মৃত মা, আধার লিঙ্ক করাতেই চক্ষু চড়কগাছ ছেলের!

Ration Scam: সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদেরও আধার লিঙ্ক করিয়ে সেই রেশন কার্ডে তুলে নেওয়া হচ্ছে খাদ্য় সামগ্রী

রেশন কার্ডের দৌলতে বেঁচে উঠছেন মৃত মা, আধার লিঙ্ক করাতেই চক্ষু চড়কগাছ ছেলের!
মৃত হাসিনা বেগমের নাম রেশন ভোক্তার তালিকায়, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2021 | 6:17 PM
Share

হুগলি: বিনামূল্যে  রেশন কেবল নয়, ‘দুয়ারে রেশন’ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু রেশন দুয়ারে পৌঁছনোর আগেই ডিলারদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বলেই অভিযোগ। গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রামে শতাধিক মৃত ব্যক্তির নামে দীর্ঘদিন ধরে রেশন (Ration) সামগ্রী আত্মস্থ করার অভিযোগ উঠল রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিরক চাপানউতোর।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় খাদ্য়সুরক্ষা আইনে রেশন কার্ডে  আধারলিঙ্ক হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রেশনভোক্তারা। অভিযোগ, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদেরও আধার লিঙ্ক করিয়ে সেই রেশন কার্ডে তুলে নেওয়া হচ্ছে খাদ্য় সামগ্রী। আর সেই সামগ্রী (Ration) ভোক্তারা তো পাচ্ছেন না-ই, বরং তা রেশন ডিলারদের গুদামজাত হচ্ছে।

নকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা মীর মহম্মদ আলির অভিযোগ, তাঁর মা হাসিনা বেগম মারা গিয়েছেন চার বছর আগে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। তাঁর  ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয় ওই বছরের অগস্টে। তারপর, গ্রামের রেশন ডিলার হাসিনা বেগমের রেশন কার্ডটি নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি, নিজের রেশন কার্ডের আধার লিঙ্ক করাতে গিয়ে মীর মহম্মদ দেখেন তাঁর সেই তালিকায় তাঁর মায়ের নামও জ্বলজ্বল করছে। তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ মহম্মদের। খবর নিয়ে জানতে পারেন রেশন ডিলার অমর কুমার নিজেই মৃত হাসিনা বেগমের কার্ডটি নিয়ে আধার লিঙ্ক করিয়েছেন। নিয়মমাফিক প্রাপ্য রেশন তুলে নিচ্ছেন নিজের ঘরে।

ঘটনায়, গোঘাটের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুরশ্রী পাল গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে খাদ্য দফতরের দুই বিডিও অফিসারকে পাঠান। প্রশাসনিক আধিকারিক কুন্তল সিংহ রায় রেশন দুর্নীতির এই অভিযোগ কার্যত শিকার করে নিয়ে বলেন, “এই ঘটনা তো ঘটেই আসছে। আজ বলে নয়, গত কয়েক বছর ধরেই এমন চলছে। ডিলাররা এমন নানা ধরনের দুর্নীতি করছে।” যদিও, ঘটনায় অভিযুক্ত রেশন ডিলারকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা জামিন আক্তার বলেন, “আগের বোর্ডে যাঁরা ছিলেন তাঁরা হয়ত মানেননি। এখন আমরা সবকিছু নিয়ম মেনে কাজ করছি। তবে এটা সরকারি দুর্নাম। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের নাম যাতে রেশন কার্ডের লিস্ট থেকে বাদ দেয় তা ব্যবস্থা করব। রেশন ডিলাররা কালবাজারির দিকে চলে যাচ্ছেন। তৃণমূল সরকারের আমলে এটা মোটেও শোভা পায় না।”পাল্টা জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষের দাবি, তৃণমূল নেতা ও রেশন ডিলারের কারসাজিতে মৃত ব্যক্তির নামে জীবিত দেখিয়ে রেশন তুলে নেওযা হচ্ছে। এই দুর্নীতি তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। আরও পড়ুন: গলায় গামছা, গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি! ইডি কর্তার ফাঁদেই পা ভেজাল পোস্ত কারবারির