গলায় গামছা, গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি! ইডি কর্তার ফাঁদেই পা ভেজাল পোস্ত কারবারির
Adulterated poppy Farm: পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই পোস্তায় জাল পোস্ত কারবারির খবর পাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা।
উত্তর কলকাতা: ভুয়ো টিকাকাণ্ডের পর এ বার শহরে ধরা পড়ল ভেজাল পোস্ত কারবারি। পোস্তার মশলাপট্টিতে উদ্ধার হল একটি গোটা ভেজাল পোস্তর গুদাম। বৃহস্পতিবার সকালে, কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট (ইডি) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পোস্তার একটি মশলার গুদামে (Adulterated poppy Farm) তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে কয়েক কেজি ভেজাল পোস্ত উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই পোস্তায় জাল পোস্ত কারবারির খবর পাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। সেইমতো, ইডি-র খাদ্য দফতরের ওসি পায়ে স্যান্ডেল, গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি, গলায় গামছা জড়িয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে ওই মশলাপট্টিতে যান। ধীরে ধীরে কারবারির সঙ্গে আলাপ জমিয়ে জেনে নেন ভেজাল পোস্তের হদিশ। এরপরেই আর দেরি করেননি তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবারই ওই পোস্ত কারখানায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা।উদ্ধার হয় ভেজাল পোস্ত।
কীভাবে চলত এই ভেজাল পোস্তর কারবার? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভুট্টাদানা, যা বাজারে রামদানা বলে পরিচিত, তা আসল পোস্তর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হত। ভুট্টাদানা ও পোস্তর অনুপাত টি প্রায় ২:১। অর্থাত্, অর্ধেকের বেশি ভুট্টাদানা, আর বাকি পোস্ত। বাজারে আসল পোস্তর দামের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম দামেই মিলত এই ভেজাল পোস্ত। ফলে সন্দেহ করতেন না ক্রেতারা। সেই ভেজাল পোস্ত কলকাতা ছাড়িয়ে বাইরে জেলাতেও বিক্রি হত। পাইকারি ও খুচরো দরেও বিক্রি হত এই পোস্ত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মশলাপট্টির ওই গুদামের (Adulterated poppy Farm) একতলায় চলত মশলা বিক্রি। দোতলায় ভেজাল পোস্তের কারবার। ভেজাল পোস্ত কারবারি অরবিন্দ গুপ্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ভেজাল পোস্তকাণ্ডে আর কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘ঘোরতর অপরাধী ছেলে’, ক্ষমা করলেন না মা, গ্রামবাসীদের ‘শাস্তি’-তে মৃত্যু যুবকের!