BSF: আর ছাড়াছাড়ি নয়! সীমান্ত নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়ে নিল BSF
BSF: জানা গিয়েছে, এতদিন জমি জট থাকায় এইসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও বিএসএফ-এর যৌথ উদ্যোগে গ্রামবাসীদের সাথে একের পর এক বৈঠকে আলোচনা হয়। তারপরই এই সমস্যা মিটতে চলেছে খবর।

জলপাইগুড়ি: কখনও ঘন কুয়াশা। কখনও বা রাতের অন্ধকার। সেই সুযোগেই কাঁটাতার গলে এ দেশে ক্রমশ ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে অরক্ষিত এলাকা থাকলে আর কথাই নেই। এবার সেই অরক্ষিত এলাকা নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল বিএসএফ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে পাকাপাকিভাবে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
জলপাইগুড়ি জেলায় রাজগঞ্জ ও সদর ব্লক মিলিয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। যার মধ্যে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে থাকা প্রায় ৫৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। এর মধ্যে নদীও রয়েছে। অভিযোগ, এই অরক্ষিত এলাকাগুলিকে কাজে লাগিয়ে চলে অনুপ্রবেশ,গরুপাচার,মাদক পাচার সহ বিভিন্ন ধরনের ক্রস বর্ডার ক্রাইম।
২০২৪-এর ডিসেম্বর মাসে পাচারকারী ও বিএসএফ-এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হামলা হয় বিএসএফ-এর উপর। তখন বাধ্য হয়ে এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে গুলি করে BSF বলে অভিযোগ। গত দুমাসে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে অন্তত দশ বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছে। সীমান্ত রক্ষা,অপরাধ ও ভারতীয়দের সম্পত্তি রক্ষা করতে এলাকায় সজাগ রয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।
জানা গিয়েছে, এতদিন জমি জট থাকায় এইসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও বিএসএফ-এর যৌথ উদ্যোগে গ্রামবাসীদের সাথে একের পর এক বৈঠকে আলোচনা হয়। তারপরই এই সমস্যা মিটতে চলেছে খবর। একইসাথে সীমান্ত এলাকায় আরও ক্যাম্প বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ। গ্রামবাসী আজিমুদ্দিন বলেন, “বিএসএফ সারাক্ষণ ডিউটি করে। শান্তিতে আছি। বাংলাদেশের লোকজন সম্পত্তি নেন। চুরি করে। সেই কারণে আমরা চাইছি কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হোক।”





