AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: ‘অসুখ কমুক, ফার্ম থাকুক…’, লেপ্টোস্পাইরোসিস আতঙ্কের মধ্যেই হ্যাচারি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর রাজগঞ্জে

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের চেকর মারি গ্রামে তাঁরা ১৫ একর জমি নিয়েছে। সেখানে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিদিন ২ লক্ষ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। আপাতত এক বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ ডিম উৎপাদন হয় ওই ফার্ম থেকে।

Jalpaiguri: 'অসুখ কমুক, ফার্ম থাকুক...', লেপ্টোস্পাইরোসিস আতঙ্কের মধ্যেই হ্যাচারি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর রাজগঞ্জে
হ্যাচারি নিয়ে বিতর্কImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2025 | 7:27 PM
Share

জলপাইগুড়ি: লেপ্টোস্পাইরোসিস-আতঙ্কে এখন ভুগছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ।  পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধ করা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রাজ্যে এসেছে সাই সিবম পোল্ট্রি ফার্ম কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের চেকর মারি গ্রামে তাঁরা ১৫ একর জমি নিয়েছে। সেখানে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিদিন ২ লক্ষ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। আপাতত এক বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ ডিম উৎপাদন হয় ওই ফার্ম থেকে।

রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের চেকর মারি গ্রামে থাকা বিতর্কিত পোল্ট্রি ফার্ম সাময়িক ভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক শামা পারভিন। বলা হয়েছে ৭ দিনের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।

জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশ মেনে ফার্ম থেকে মুরগি স্থানান্তর করতে গিয়ে শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। পর পর দুদিন মুরগি স্থানান্তর করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ।

যারা এই ফার্ম তৈরি করতে জমি দিয়েছিলেন তাঁদের পরিবার ও আশেপাশের গ্রাম মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ এই ফার্মে কাজ করে। তাঁরাই দুবার বাধা দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ফার্ম বন্ধ হলে তাঁরা কর্মহীন হয়ে যাবে।

এবার প্রশাসনের তরফে দেওয়া ফার্ম বন্দের নির্দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি ফার্ম বন্ধের বিরোধিতা করেছে। উল্টো দিকে প্রশাসনের তরফে সাময়িক ভাবে ফার্ম বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল।

বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, “রাজ্যে এমনিতেই শিল্প আসে না। ৪৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক। আবার নতুন করে কিছু শ্রমিক কাজ হারাবে। প্রশাসনের অপদার্থতায় এই পরিস্থিতি তৈরি হল। হ্যাচারি থেকে গ্রামের মানুষ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তার কোনও রিপোর্ট নেই। রাজ্যে সরকারের উচিত ছিল সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হ্যাচারি চালু করার ছাড়পত্র দেওয়া। আর মাঝে মধ্যে সরকারি ভাবে সমস্ত কিছু পরীক্ষা করা হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।”

তিনি স্পষ্ট বললেন, “আমরা চাই অসুখ কমে যাক। ফার্ম টিকে থাকুক। এই দুই ব্যাপারে প্রশাসন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করুক।”

তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি তপন দে বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কথা ভাবে। সেই কারণে গ্রামবাসীদের কথা চিন্তা করে কিছুদিনের জন্য হ্যাচারি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ সমস্ত কাগজপত্র সঠিক করলে পুনরায় হ্যাচারি চালু হয়ে যাবে। কিন্তু যতদিন হ্যাচারি বন্ধ থাকবে ততদিন শ্রমিকদের সংসার চালাতে হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ দায় নিলে ভাল হবে।”

প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে মারাত্মকভাবে বেড়েছে লেপ্টোস্পাইরোসিসের প্রভাব। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ মূলত ইঁদুরের প্রস্রাব থেকেই ছড়ায়। রাজগঞ্জে প্রায় ২০০ জন এই ইঁদুর জ্বরে আক্রান্ত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে লোকলয়ের মধ্যে একটি হ্যাচারি থেকেই এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কারণ সেখানে মুরগির বিষ্ঠাতে ইঁদুরের আনাগোনা বাড়ছে, তা থেকেই লোকালয়ে ছড়াচ্ছে রোগ। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটায় পাঠানো হয়েছে। সেই হ্যাচারি বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামাবাসীরা। তা নিয়েই চাপানউতোর।