AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই বাড়বাড়ন্ত মাদকের কারবার! ক্ষোভের সঞ্চার

Jalpaiguri: এলাকাবাসীদের অভিযোগ, পুলিশকে জানালে তারা আসে। দু একজনকে ধরে। কিছুদিন পরে ছাড়া পেয়ে যায়। এরপর ফের এলাকায় ফিরে ব্রাউন সুগার বিক্রি করা শুরু করে। এখন এলাকায় বেশ কিছু বাড়ির ছেলে মেয়েরা মাদক আসক্ত হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর এর জেরে শহরে বেড়েছে চুরি ছিনতাই।

Jalpaiguri: চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই বাড়বাড়ন্ত মাদকের কারবার! ক্ষোভের সঞ্চার
মাদক কারবার নিয়ে বিক্ষোভImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2025 | 6:43 PM
Share

 জলপাইগুড়ি: চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডে ড্রাগ মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত।এই অভিযোগে ওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হলো খোদ চেয়ারম্যানকে। একইসাথে দাগী মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে তাঁদের ছবি-সহ অভিযোগ থানায় জমা দিল ক্ষিপ্ত জনতা। কলকাতা হাইকোর্টর জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনটি জলপাইগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল। অভিযোগ, সার্কিট বেঞ্চ সংলগ্ন এলাকা জুড়ে ড্রাগ ব্যবসায়ীদের রমরমা কারবার। এই নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়ে লাভ হয়নি।

গত কয়েকদিন আগে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি ছিল। সেখানে রাস্তা সারাই বা লাইট নেই, ইত্যাদি অভিযোগকেও ছাপিয়ে যায় মাদক সমস্যা নিয়ে অভিযোগ। তাই এই নিয়ে শনিবার রাতে ওয়ার্ডে বৈঠক ডাকেন ৭ নম্বর কাউন্সিলর তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল।আর সেখানে তাঁকে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাসিন্দারা।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, পুলিশকে জানালে তারা আসে। দু একজনকে ধরে। কিছুদিন পরে ছাড়া পেয়ে যায়। এরপর ফের এলাকায় ফিরে ব্রাউন সুগার বিক্রি করা শুরু করে। এখন এলাকায় বেশ কিছু বাড়ির ছেলে মেয়েরা মাদক আসক্ত হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর এর জেরে শহরে বেড়েছে চুরি ছিনতাই।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজাতা সাহা বলেন, “এলাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে এইখানে মাদক বিক্রি হয়। বাচ্চারাও নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।” দীপাঞ্জন বক্সি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় প্রায় দিন নতুন নতুন মাদক বিক্রেতা গজাচ্ছে। কারণ খুব অল্প সময়ে প্রচুর টাকা কামিয়ে নিয়ে অনেকেই বাড়ি, গাড়ি করে নিচ্ছে। এতে অন্য যুবক যুবতীরা প্রলুব্ধ হচ্ছে। তারাও খেটে খাওয়া বাদ দিয়ে মাদক ব্যবসার পথ বেছে নিচ্ছে।”

শান্তি সরকার নামে এক ড্রাগ আসক্তের মা বলেন আমার ছেলে মাদক খায়। টাকা না পেলে আমাদের মারধর করে। কতদিন এইভাবে মার খাবো।পুলিশ সব জানে।কিছুই করে না।

রুপা ঘোষ বলেন আজ আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে। তাই চেয়ারম্যান সহ আমরা সবাই মিলে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করে গেলাম। যারা ড্রাগ বিক্রির সাথে যুক্ত দাগী অপরাধী। তাদের ছবি সহ তালিকা দিয়ে গেলাম।

চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন এলাকার মানুষের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তাই আমার ওয়ার্ডের পাড়ায় সমাধান ক্যাম্পে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে।তাই আজ ফের আলোচনা করে থানায় অভিযোগ করা হলো। পুলিশ সবসময় সচেষ্ট থাকে।অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা নেয়। এবার সাত দিন সময় চেয়ে নিলো।দেখা যাক কি হয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।