জলপাইগুড়ি: ফাঁকা সিরিঞ্জ শরীরে ঢুকিয়ে ‘প্রশিক্ষণের’ নামে চলত শারীরিক নির্যাতন। জলপাইগুড়িতে ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং স্কুল কাণ্ডে অভিযুক্ত শর্মা দম্পত্তির খোঁজে নতুন করে তল্লাশি শুরু করল পুলিশ। ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং স্কুল খুলে পড়ুয়াদের প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। পলাতক অভিযুক্ত শর্মা দম্পতির খোঁজে জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় এক যোগে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ায় ভুয়ো নার্সিং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। এরপর মুচলেকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শান্তনু শর্মা স্বাস্থ্য দফতরকে জানান, কোনও স্বীকৃতি এমনকি নার্সিং পড়ানোর যোগ্যতা ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছিলেন তিনি।
প্রকাশ্যে আসতে থাকেন ছাত্রীরা। শিক্ষার নামে কীভাবে শারীরিক নির্যাতন চলত, সেই অভিযোগ সামনে আনতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ করেন, ফাঁকা সিরিঞ্জ শরীরে ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হত, তারপর পড়ুয়াদেরই হাত কাটা হত, তারপর অন্য পড়ুয়াকে দিয়ে শেখানো হত সেলাই। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসন এবং কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীরা। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। ছাত্রীদেরও একাংশ ভুয়ো নার্সিং প্রতিষ্ঠানের মালিক শান্তনু শর্মা ও তাঁর স্ত্রীর নামে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরই গা ঢাকা দেন দম্পতি।
অভিযুক্ত দম্পতিকে পাকড়াও করতে মঙ্গলবার তাঁদের বাড়ি, ফ্ল্যাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় হানা দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।