জলপাইগুড়ি: সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও এলো না স্বস্তি। জলপাইগুড়িতে দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় স্বস্তি পেলেন না যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টেও জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের রায়ই কার্যত রইল বহাল।
সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানান, আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আত্মসমর্পণ করতে হবে সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে। তবে নির্ধারিত এই সময়ের মাঝে পুলিশ সৈকতকে গ্রেফতার করতে পারবে না।
চলতি বছরের ১ এপ্রিলের ঘটনা। জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সমাজসেবী দম্পতির দেহ। এই দম্পতি ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই ও ভাইয়ের বউ। এই ঘটনায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়। সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।
গত জুন মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চেও খারিজ হয়ে যায় সৈকতের আগাম জামিনের আবেদন। ততদিনে সৈকত পলাতক বলে খবর ছড়ায়। বেশ কয়েকমাস জলপাইগুড়িতে সৈকতের চট্টোপাধ্যায়ের কোনও হদিশ ছিল না। পুলিশ তাঁর নামে হুলিয়া জারি করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দারস্থও হয়। তখনই কানাঘুঁষো ছিল সুপ্রিম-দুয়ারে যাচ্ছেন তিনি। তবে সেখানেও খুব স্বস্তি পেলেন না তৃণমূলের এই যুবনেতা।