AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর উত্তরে শিশু অসুস্থের হার কম, বিতর্কের পর প্রকাশ তালিকা

Jalpaiguri: অজানা জ্বর মোকাবিলায়, সোমবারের পর ফের বুধবার ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম এসেছে জলপাইগুড়িতে।

Jalpaiguri: গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর উত্তরে শিশু অসুস্থের হার কম, বিতর্কের পর প্রকাশ তালিকা
শিশুদের এই জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের হাতে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 7:27 AM
Share

জলপাইগুড়ি: পরপর চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। জানা যায়নি জ্বরের (Viral Fever) কারণ। প্রশ্নের মুখে পড়ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। এবার প্রকাশ্যে একটি তালিকা আনলেন উত্তরের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত রায়। আর দাবি করলেন, গত কয়েকবছরের তুলনায় এবারে শিশু অসুস্থের সংখ্যা কম। সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি জানালেন উত্তরের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক।

গত কয়েক বছরের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস) জলপাইগুড়ি জেলায় শিশু আক্রান্তের সংখ্যা:

১) ২০১৭ সালে – ২২৭৯ জন

২)২০১৮ সালে – ২০৪৯

৩) ২০১৯ সালে – ২০৮৩

৪)২০২০ সালে-৬৪০

৫) ২০২১ সালে -১১৯৫ ( গতকাল পর্যন্ত )

তথ্য দিলেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়।

এদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৯২। গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন শিশু। চিকিত্‍সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ২৬ জনকে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছে ৫জনকে।

অজানা জ্বর মোকাবিলায়, সোমবারের পর ফের বুধবার ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম এসে পৌঁছেছে জলপাইগুড়িতে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশেই এই টিম এসে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। ৫ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সক গৌতম দাস-সহ উত্তরবঙ্গের বিশেষ জনস্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিত্‍সক সুশান্ত রায় ও অন্যান্য আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই অজানা জ্বরে জলপাইগুড়িতে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। মঙ্গলবার সকালেই ময়নাগুড়ি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৮মাসের এক শিশুর। অন্যদিকে, আচমকা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন মাঝবয়সী ও বৃদ্ধরাও। হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়। কীভাবে এই জ্বর, কারণ খুঁজতে তত্‍পর প্রশাসন।

অজানা জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে । ৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যুর খবর এসেছিল আগেই। এখনও পর্যন্ত এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ৪ শিশুর। গুরুতর অসুস্থ শিশুর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫০-এর পঞ্চাশের কাছাকাছি। সরকারি নথি অনুযায়ী ৫০০-র বেশি শিশু অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই ঘটনা কার্যত বেআব্রু করে দিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে। বিশেষত শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামোর হতশ্রী চেহারাটা ক্রমশ সামনে আসছে।

জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, “আমরা ভাইরাসকে চিনতে পারছি না। অন্য বছরগুলিতে অক্টোবর মাসে ঠান্ডা পড়লে কিছু জ্বর সর্দি কাশি বাচ্চাদের হতো। কিন্তু এবার তা সেপ্টেম্বরেই হচ্ছে। হুহু করে প্লেটলেট ও রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা কমে যাচ্ছে। এর জেরেই দুর্বল হয়ে পড়ছে শিশুরা।”

শিশু রোগ বিশেষঞ্জ চিকিৎসক সুবল দত্ত বলেন, “প্রচন্ড ছোঁয়াচে ভাইরাস। আমরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ছি। পুষ্টির অভাবে থাকলে জ্বরে আক্রান্ত বাচ্চাদের অর্গান ফেলিওর হচ্ছে। দ্রুত কমছে প্লেটলেট। আমরা চিকিৎসা চালাচ্ছি।”

আরও পড়ুন: North Bengal: অজানা জ্বরে জবুথবু উত্তরবঙ্গ, কোন জেলায় কত আক্রান্ত, জানাল স্বাস্থ্য দফতর