AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lakhir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকায় কি সংসার চলে? নিতান্ত আলাপচারিতায় দাপুটে নেতাকে প্রশ্নটা করেছিলেন ফেলেছিলেন গ্রামবাসী, তারপর…

Lakhir Bhandar: "এই সরকারের আমলে মানুষ প্রচুর কিছু পাচ্ছে। তাই মানুষের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। যা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। যেইসব সমস্যা সামনে আসছে রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই তা সমাধান করতে উদ্যোগী হবে।"

Lakhir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকায় কি সংসার চলে? নিতান্ত আলাপচারিতায় দাপুটে নেতাকে প্রশ্নটা করেছিলেন ফেলেছিলেন গ্রামবাসী, তারপর...
জলপাইগুড়িতে দিদির দূত
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2023 | 11:33 AM
Share

জলপাইগুড়ি: লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakhir Bhandar) দিয়ে সংসার চলে না। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দিদির দূতকে (Didir Doot) কাছে পেয়ে নিজেদের সমস্যার কথা বললেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ ব্লকে গিয়েছিলেন দিদির দূত চন্দন ভৌমিক। রাজ্যে পালা বদলের আগে তিনি ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার জেলা সভাপতি। বুধবার তিনি গিয়েছিলেন রাজগঞ্জ ব্লকের পানিকৌড়ি অঞ্চলে। তাঁর সঙ্গে ছিল রাজগঞ্জ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা রায়, ছিলেন ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। প্রথমে তাঁরা যান পানিকৌড়ি অঞ্চলের একটি চার্চে। সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করেন। এরপর তাঁরা চলে যান স্থানীয় স্কুলে। সেখান থেকে চলে যান চৌধুরী ভিটা এলাকায়। যেখানে জটলা করে বসেছিল গ্রামের কিছু মানুষ। তাঁরা নিজেরা গল্পগুজব করছিলেন। একসঙ্গে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীদের দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে বসে পড়েন চন্দন। এরপর শুরু হয় দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে আলাপচারিতা। সেখানেই গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, “রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই সমস্যায় পড়ছে তাঁদের সন্তানরা। লেখাপড়া শেখা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করছে।” তাই তাঁদের বক্তব্য ছিল, লক্ষ্মীরভান্ডার নয়, দ্রুত কর্মসংস্থান করুন। গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনে তাঁদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন চন্দন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দন ভৌমিক বলেন, ” দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে দিদির দূত হয়ে রাজগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে যাচ্ছি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা লিপিবদ্ধ করছি। যেইসব সমস্যা গুলি সামনে আসছে, তা আমরা দলগতভাবে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেব। এই সরকারের আমলে মানুষ প্রচুর কিছু পাচ্ছে। তাই মানুষের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। যা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। যেইসব সমস্যা সামনে আসছে রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই তা সমাধান করতে উদ্যোগী হবে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজগঞ্জ ব্লকে এর আগে বেশ কয়েকটি দিদির দূত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সমস্ত কর্মসূচিগুলিতে মন্ত্রী-সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় কর্মীদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তেমন ভাবে কর্মীদের ভিড় লক্ষ করা যায়নি। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল ঘোষনা হয়েছে। প্রয়াত মন্ত্রীর আসনে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। যা নিয়ে কিছুটা হলেও ভাবিত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীরাও অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ইস্যু করেছে। বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “বাংলার মানুষ কর্মসংস্থান চান। লক্ষ্মীর ভান্ডার, খেলা-মেলা করে টাকা খরচ করে ফেলছেন দিদি। কিন্তু মানুষ এখন বুঝে গিয়েছে। শিল্প শেষ হয়ে গিয়েছে বাংলায়। কর্মসংস্থান নেই। তাই বাংলার মানুষ এখন সরব হচ্ছেন।”