AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

blackmail: টাকা না দিলে মেয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল করব, বিয়ের আগে হুমকি চিঠি বাবাকে! তার পর…

Jalpaiguri: টাকার বান্ডিল একটি খামে পুরে কনের বাবাও দোকানে পৌঁছে দেন। অন্যদিকে সাদা পোশাকের পুলিশও নজরদারি চালাতে থাকে।

blackmail: টাকা না দিলে মেয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল করব, বিয়ের আগে হুমকি চিঠি বাবাকে! তার পর...
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2022 | 12:15 AM
Share

জলপাইগুড়ি: দিন কয়েক পরই মেয়ের বিয়ে। তার আগেই মেয়ের বাবার কাছে এল উড়ো চিঠি। সেই চিঠিতে লেখা, মেয়ের বিয়ে ভালভাবে দিতে চাইলে ৫০ হাজার টাকা দুপুরের মধ্যে দিতে হবে। টাকা কোথায় রেখে আসতে হবে সেই ঠিকানাও দেওয়া হয়েছিল। টাকা না দিলে মেয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মেয়ের বাবা। নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা রেখে আসেন মেয়ের বাবা। সেখানেই সাদা পোশাকে অপেক্ষা করছিল পুলিশ। হুমকি চিঠি দেওয়া যুবক টাকা নিতে আসতেই পুুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। যদিও ওই যুবকের কাছে কোনও ভিডিয়ো বা ছবি ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে।

ভিডিয়ো ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা দাবি করে কনের বাড়িতে চিঠি পাঠালো এক ব্ল্যাকমেলার। ভয় পেয়ে উড়ো চিঠি নিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার দারস্থ হয় পরিবার। এরপর সাদা পোশাকের পুলিশ ফাঁদ পাতে। নির্দিষ্ট যায়গায় সময় মতো কাগজে মুড়িয়ে টাকা রেখে আসে কনের পরিবার। এর কিছুক্ষন পর টাকা নিয়ে পালাতে গেলে ব্ল্যাকমেলারকে হাতে নাতে পাকড়াও করে সাদা পোশাকের পুলিশের দল। ধৃতের নাম বাপী তন্ত্র (২৬)। তাঁর বাড়ি পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের টোপা মারি এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি পুর এলাকার এক জন মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। আসছে মাসেই তার বিয়ে। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দড়জা খুলতেই কনের বাবা দেখতে পান তার বারান্দায় একটি দু পাতার চিঠি পড়ে আছে। চিঠি পড়ে অবাক হন কনের বাবা। চিঠিতে লেখা আছে, তাঁর মেয়ের কিছু ব্যাক্তিগত মুহূর্তের ভিডিয়ো তাঁদের কাছে আছে। শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা না দেওয়া হয় তবে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেবে। তাই আজ দুপুরের মধ্যে জলপাইগুড়ি বাবু পাড়া এলাকায় MLA যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার নিচে একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকানে টাকা রেখে আসবেন। এরপর কোতোয়ালি থানার দারস্থ হয় পরিবার।

কোতোয়ালি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ এদিন দুপুরে নির্ধারিত সময়ে সেই দোকানের উপর নজরদারি শুরু করে। অন্যদিকে টাকার বান্ডিল একটি খামে পুরে কনের বাবাও দোকানে পৌঁছে দেন। অন্যদিকে সাদা পোশাকের পুলিশও নজরদারি চালাতে থাকে। দুপুর তিনটে নাগাদ ওই দোকানের সামনে নীল রঙের একটি বাইক নিয়ে একজন যুবক আসে। নির্ধারিত দোকান থেকে ওই খাম সংগ্রহ করে। যাওয়ার সময় পুলিশের টিম হাতেনাতে ওই যুবককে পাকড়াও করে ফেলে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে আদৌও কোনও ভিডিয়ো অভিযুক্তদের কাছে নেই। ধৃত এবং অভিযোগকারী যুবতী পূর্ব পরিচিত। এর আগেও ওই যুবক ওই যুবতীর কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল। কিন্তু যুবতী টাকা দেয়নি। শেষপর্যন্ত যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনে হুমকি চিঠি দিয়ে টাকা আদায়ের ছক কষে। তবে তাঁর ধারণা ছিল না পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলবে।

পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো জানান, পূর্বপরিচিতকে উড়ো চিঠি পাঠিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের ছক ছিল এক যুবকের। পুলিশ তা ভেস্তে দিয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে। রবিবার ধৃতকে আদালতে হাজির করা হবে।