Husband-Wife Suicide: বিছানায় পড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী অপর্ণা, বাথরুমের সামনে স্বামী, অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

Husband-Wife Suicide: ২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অপর্ণা ভট্টাচার্য।

Husband-Wife Suicide: বিছানায় পড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী অপর্ণা, বাথরুমের সামনে স্বামী, অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
অপর্ণা ও সুবোধ ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2023 | 12:13 PM

জলপাইগুড়ি: তৃণমূল নেত্রী ও তাঁর স্বামীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হতভম্ব প্রতিবেশীরা। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না আত্মীয়রাও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী-স্ত্রী। শনিবার সকালে তাঁদের বাড়ির ভিতর থেকেই দুজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও আত্মীয়রা। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় সুবোধ ভট্টাচার্যের আর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় অপর্ণার।

২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অপর্ণা ভট্টাচার্য। সেই সময় ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্য়ায়ের ভাই সুবোধবাবু। তিনি একসময় জলপাইগুড়ি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্যও ছিলেন। এদিন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান দিদি শিখা চট্টোপাধ্যা। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

অপর্ণা দেবীর ভাই উত্তম গৌতম জানিয়েছেন, তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সকালে খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। ঘরে ঢুকে দেখা যায়, বাথরুম আর রান্নাঘরের মাঝে পড়েছিলেন সুবোধ ভট্টাচার্য আর বিছানায় পড়েছিলেন অপর্ণা। মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি। তবে উত্তম বাবুর দাবি, ওই দম্পতির মেয়ের বিয়ে হয় গত বছরের শেষের দিকে। মাস তিনেক পরই কোনও অশান্তির কারণে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন অপর্ণা দেবী। সে কারণে কোনও মানসিক চাপ চলছিল বলে মনে করছেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর মনীন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও কারণ বুঝতে পারছি না। তবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তদন্তে হয়ত আসল কারণ উঠে আসবে।’